সোমবার থেকে খুলছে স্কুল। রাজ্যে চরম গরমের কারণেই ১৫ দিনের ছুটি বারিয়ে দেওয়া হয় সরকারের তরফে। ছোট ছোট পড়ুয়ারা গরমে স্কুলে গেলে অস্বস্তি বোধ করবে এই কারণেই বাড়ানো হয় ছুটি। ফলেই এবার জুন মাসের ২৭ তারিখ শুরু হচ্ছে স্কুলের কার্যক্রম।
এদিকে গরমের রেশ এখন অনেকটা কম। মাঝে মধ্যে স্বস্তির বৃষ্টিও হচ্ছে। বর্ষা পুরোপুরি ভাবে দক্ষিণবঙ্গে না ঢুকলেও এর প্রভাবে ছারখার উত্তরবঙ্গ। ফলেই একটু আধটু ডেঙ্গু এবং ম্যালেরিয়ার মাত্রা বেড়েছে। মানুষের মধ্যে বেড়েছে জ্বরের লক্ষণ, হঠাৎ গরম থেকে বর্ষার এই সময়ে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছে চিকেন পক্সের মত সমস্যায়। পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য শিক্ষা দফতরের তরফে। এর সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। বাচ্চাদের সুস্থ রাখতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বর্ষাকালে স্কুল প্রাঙ্গণের পরিষ্কার এবং পরিচ্ছন্নতার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সেখানে যেন জমা জল না থাকে এমনকি আগাছা পরিষ্কার করা। স্কুল বিল্ডিংয়ে ব্লিচিং দেওয়া ছাড়াও এর প্রতিটা ঘরকে স্যানিটাইজ করতে হবে।
যেহেতু করোনা সংক্রমণ সমানেই বাড়ছে। শিক্ষক শিক্ষিকাদের এবং স্কুলকর্মিদের দুটি ডোজ অবশ্যই নেওয়া থাকতে হবে। স্কুলে বাধ্যতামূলক মাস্ক। সোশ্যাল ডিসটেন্স মানতে হবে। বারবার স্যানিটাইজার ব্যবহার করা এগুলো দেখে চলতে হবে।
শিশুদের দিকে নজর রাখতে হবে যেন এর ওর জল টিফিন না খেয়ে নেয়। এমনকি রান্নার বাসন পত্র, রান্নার জায়গা সবকিছু পরিষ্কার রাখতে হবে। এছাড়াও স্কুলের তরফে নেওয়া হতে পারে নানা সিদ্ধান্ত। তারা যেভাবে ঠিক মনে করবেন সেইভাবে কাজ শুরু করতে পারেন।
স্কুল খুললেই মিড টার্ম পরীক্ষা, আপাতত সেই প্রস্তুতি তুঙ্গে। এদিকে কিছুদিন আগেই বিভিন্ন স্কুল থেকে ছেলেমেয়েদের মাপ নিয়েই পোশাক দেওয়ার কাজ করেছে কর্তৃপক্ষ।