পশ্চিমবঙ্গে সরকারি স্কুলে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে, সপ্তাহে পরিবর্তনশীল দিনে ব্যাচ করে শিক্ষর্থীদের ক্লাস শুরু হবে। সমস্ত শিক্ষর্থীদের ভাগ করে দেওয়া হবে। সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে ক্লাস করা যাবে না। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্যালয়গুলিকে একটি “বিকল্প মডেল” অনুসরণ করতে বলা হবে। এই মডেল প্রতিটি ক্লাসকে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বিষয়টিকে নিশ্চিত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। “বিকল্প মডেল” সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশদে পরে জানানো হবে।
মন্ত্রী বলেন, “সমস্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ৩০ জুন পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ বহু স্কুল ঝড়ের ঝাপটায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে”। তবে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য যে দিন ঘোষণা করা হয়েছে সেই দিনের আপাতত কোনো বদল হবে না। ২৯ জুন, ২ ও ৬ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে বাকি থাকা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা।
তিনি বলেন, বেসরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি নিজস্ব সময়সূচী অনুসরণ করতে পারে। তবে মন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে তিনি আশা করেন, বেসরকারী স্কুলগুলি সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে চলবে। তবে তিনি উল্লেখ করেন, যদি সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল একই এলাকায় অবস্থিত হয় তবে উভয় ক্ষেত্রেই একই নিয়ম পালন করা উচিত।
প্রসঙ্গত, ক্লাস না হওয়ার কারণে লেখাপড়ায় ব্যাঘাত ঘটছে। পার্থ বাবু বলেন, আমরা রাজ্যের বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক শিক্ষিকা শিক্ষা সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করেছি, বিভিন্ন জায়গার ডি আই ও এসআই শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে শিক্ষর্থীদের বাড়িতে গিয়ে পড়াতে পারে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবদিক বিবেচনা করার পর মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পরীক্ষা চলাকালীন সামাজিক দুরত্ব মেনে চলতে হবে। কাজেই, পরীক্ষা কেন্দ্র সংখ্যা বাড়াতে হবে। এদিকে ঝড়ের দাপটে আট জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার মধ্য়ে ১০৫৮টি সেন্টারের মধ্যে ৪৬২ টি সেন্টারের ক্ষতি হয়েছে। তাই কলেজ গুলির সঙ্গে আলোচনা করে, কলেজগুলিকে উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষাকেন্দ্রের তালিকায় রাখা হবে।
Read the full story in English