প্রকাশিত হয়েছে জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফলাফল। কলকাতাকে টেক্কা দিয়েছে রায়গঞ্জ। রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় প্রথম স্থানাধিকার সৌরদীপ দাস। দেওঘর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র। দ্বিতীয় হয়েছেন দূর্গাপুরের ডিএভি মডেল স্কুলের ছাত্র শুভম ঘোষ। তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন, ঢাকুরিয়ার বাসিন্দা শ্রীমন্তী দে। ডিপিএস রুবি পার্কের পড়ুয়া।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন, এই তিন শীর্ষ স্থানীয় শিক্ষার্থীরা। সৌরদীপের ভবিষ্যতে গবেষণা করার ইচ্ছা। সৌরদীপ বলেন, "জয়েন্টে ভালো ফল আশায় ছিল কিন্তু প্রথম স্থান পাবো, এতটা ভাবি নি। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে এখনই সিদান্ত নিতে পারছি না, আগামী দিনে কী করব! সর্ব ভারতীয় বিভিন্ন স্তরের পরীক্ষা দিচ্ছি। জয়েন্ট অ্যাডভান্স, আইএসআই প্রবেশিকার জন্য প্রস্তুতি চলছে। ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স বেঙ্গালুরুতে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল হয়েছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে কী হবে সেটা বুঝতে পারছি না। তবে শান্তির বিষয় আমার একার নয়, প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে। আগামী দিনে নিশ্চই কিছু একটা হবে"।
শুভম ঘোষের কথায়, তিনিও আশার করেন নি এত ভালো ফলাফল হবে। তবে আইআইটিতে পড়ার ইচ্ছা শুভমের। তাই জয়েন্ট অ্যাডভান্সের জন্য অপেক্ষা করছে। তার জন্য শেষ পর্বের প্রস্তুতি নিচ্ছে শুভম।
ঢাকুরিয়ার শ্রীমন্তি দে অপেক্ষা করে ছিলেন ওয়েবসাইটে রেজাল্ট দেখবেন বলে। কিন্তু তাঁর আগেই খবরের চ্যানেলে নিজের নাম দেখে অবাক রাজ্য জয়েন্টে মেয়েদের মধ্যে প্রথম শ্রীমন্তি। তিনি বলেন, ভালো একটা কোনও র্যাঙ্ক হবে ভেবেছিলাম। কারণ পরীক্ষাটা হয়েছিল ঠিকঠাক। কিন্তু রাজ্যের মেধাতালিকায় জায়গা করব ভাবিনি। কারণ, অলিম্পিয়ার ছিল তাই অতটা পড়াশোনা করিনি। আপাতত আগামীদিনে কী করব সেটাও ভাবিনি। তবে এখন জয়েন্ট এন্ট্রান্স অ্যাডভান্সের দিকে তাকিয়ে আছি। তবে কাউন্সিলিং শুরু হলে যাদবপুরে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে ভর্তি হওয়ার ইচ্ছা আছে।
প্রসঙ্গত, শ্রীমন্তী দে রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রবেশিকা পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তনের জন্য অনুরোধ করেছিলেন। কারণ ওই একই দিনে অনুষ্ঠিত হয়েছে পদার্থ বিজ্ঞানের অলিম্পিয়াড পরীক্ষাও। যার ফলে অনেকেই দুটি পরীক্ষার মধ্যে একটি দিতে পারবে না। উভয় পরীক্ষাই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ২ ফেব্রুয়ারি।
শ্রীমন্তি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছিল, “ইতিমধ্যে ঘোষিত প্রবেশিকা পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা সম্ভব নয় বলে বোর্ডের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে প্রবেশিকা পরীক্ষার সময় পরিবর্তন করলে বা দুটি শিফটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলে পরীক্ষার্থীদের জন্য খানিক স্বস্তি হবে।”