General Election 2019: সপ্তদশ সাধারণ লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট রবিবার প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। ষোড়শ লোকসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৩ জুন। দিল্লির বিজ্ঞান ভবন থেকে সাধারণ নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। নির্ঘন্ট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই সারা দেশে চালু হয়ে গেল আদর্শ আচরণ বিধি। এই আচরণ বিধি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের উপর আরোপ করতে চলেছে বিবিধ বিধিনিষেধ। ভোটপর্ব চলাকালীন কোনো নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করতে পারবে না রাজ্যের বা কেন্দ্রের কোনো ক্ষমতাসীন সরকার।
আরও পড়ুন, West Bengal Lok Sabha Elections 2019 LIVE Updates: ‘‘৭ দফায় ভোটে তৃণমূলের দফারফা হবে’’
কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে হবে ভোট। নির্বাচনের আগে সিআরপিএফ বাহিনী রুট মার্চ করবে দেশ জুড়ে, ঘোষণা করলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।
আরও পড়ুন, Lok Sabha Election 2019: বাংলায় ৭ দফায় লোকসভা ভোট, কবে কোথায়?
সাত দফায় হবে ভোট। প্রথম দফার নির্বাচন ১১ এপ্রিল। পরবর্তী দফার দিনগুলি হল ১৮ এপ্রিল, ২৩ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিল, ৬ মে, ১২ মে এবং, ১৯ মে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হবে ২৩ মে। পশ্চিমবঙ্গেও সাত দফায় হবে নির্বাচন। ১৮ থেকে ২৫ মার্চের মধ্যে জমা দিতে হবে মনোনয়ন।
সমস্ত রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে ইতিমধ্যে বৈঠক করেছে কমিশন। বৈঠক হয়েছে সব রাজ্যের মুখ্য সচিব এবং ডিজিপি-র সঙ্গে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে বলে জানালেন সুনীল অরোরা। তিনি জানিয়েছেন, "দেশজুড়ে সুষ্ঠুভাবে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর কমিশন।"
আরও পড়ুন, আজ নির্বাচন নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর কী হবে?
নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে সমস্ত নির্বাচন কেন্দ্রে লাউডস্পিকার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। খোলা হল ২৪ ঘণ্টার টোল ফ্রি নম্বর - ১৯৫০। নির্বাচন সংক্রান্ত যে কোনও অভিযোগ সরাসরি কমিশনকে জানানোর ব্যবস্থা করা হল। ভোটার চাইলে ভিডিও তুলেও সরাসরি কমিশনের কাছে পাঠাতে পারবেন অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপে। জম্মু কাশ্মীরে নির্বাচন পরিদর্শনের জন্য তিনজন বিশেষ পর্যবেক্ষক পাঠাবে কমিশন।
এ বছর ৯০ কোটি ভোটার ভোট দেবেন বলে জানাল হল। তাঁদের মধ্যে নতুন ভোটারের সংখ্যা দেড় কোটি।
নির্বাচন কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, দেশ জুড়ে ১০ লক্ষ পোলিং স্টেশনে থাকবে ভিভিপ্যাট। ইভিএম ব্যালট পেপারে থাকবে প্রার্থীদের ছবি। ইভিএম স্থানান্তরিত করার সময় শেষ এক কিলোমিটার জিপিএস ব্যবহার করে ট্র্যাক করা হবে। শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য দেশ জুড়েই মোতায়েন করা হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
প্রার্থীদের অর্থব্যয় নিয়েও এ বারের নিয়ম বেশ কিছুটা কড়া করল কমিশন। গুগল, টুইটার, ফেসবুক সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের খরচের বিশদ বিবরণ উল্লেখ করতে হবে নির্বাচন কমিশনের কাছে, এবং তা ধরা হবে নির্বাচনী খরচের মধ্যেই।
পরিশেষে, নির্বাচনী অথবা রাজনৈতিক প্রচারে ব্যবহার করা যাবে না প্রতিরক্ষা দফতরের কোনও কর্মীর ছবি।