Advertisment

আসানসোলে জয়ের পথে বাবুল, অনেক পিছিয়ে সুচিত্রা-কন্যা মুনুমন

গোষ্ঠী সংঘর্ষের ক্ষত এখনো শুকোয়নি আসানসোলে। এই ঘটনার মাধ্যমে ধর্মীয় মেরুকরণই ভোটের ফলে প্রবলভাবে প্রতিফলিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Asansol Lok Sabha Constituency Result

গায়ক প্রার্থী এতটাই এগিয়ে রয়েছেন যে মুনমুন সেনের লড়াইয়ে ফেরা প্রায় অসম্ভব

Asansol Lok Sabha Result: ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে আসানসোল কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী দোলা সেন হেরে যাওয়ার পর দলে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু বাবুল সুপ্রিয় এবারও আসানসোল কেন্দ্রে জয়ের পথে থেকে কয়লাখনির জেলায় গেরুয়া আধিপত্য প্রমাণ করতে চলেছেন। ৬০ হাজারের বেশি ভোটে পিছিয়ে পড়েছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী মুনমুন সেন। বাঁকুড়ার আসন থেকে সরিয়ে এনে সুচিত্রা-কন্যাকে আসানসোল কেন্দ্রে দাঁড় করিয়েছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত এই টলিউড অভিনেত্রীর কোনও ক্যারিশ্মাই কাজ করল না খনি অঞ্চলে। তবে, আসানসোল জুড়ে এমন প্রবল গেরুয়া ঝড়ের কারণ কী?

Advertisment

গোষ্ঠী সংঘর্ষের ক্ষত এখনো শুকোয়নি আসানসোলে। এই ঘটনার মাধ্যমে ধর্মীয় মেরুকরণই ভোটের ফলে প্রবলভাবে প্রতিফলিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। আসানসোল কর্পোরেশন নির্বাচনে বিপুল আসনে জয় পেয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু, লোকসভা নির্বাচনে সেই জয়ের ধারা এবারও ধরে রাখতে পারল না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। সময় যত গড়াচ্ছে আসানসোলে উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে যাচ্ছে পদ্মশিবির। উল্লেখ্য, খোদ আসানসোলের মেয়র জিতেন তিওয়ারির হাতেই ছিল মুনমুনের ভোট ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব। তবু শেষ রক্ষা হল না। মনে করা হচ্ছে, মেরুকরণের রাজনীতিকে টেক্কা দিতে পারেনি ঘাসফুল। এই কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রচারে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, কয়লা পাচারের সঙ্গে আরএসএস যুক্ত। সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল রাজ্য এসএসএস। উল্টে প্রশ্ন উঠেছিল, কয়লার কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত কে? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কয়লার কালো কারবারিতে কে কে যুক্ত তা জানেন আসানসোলের বাসিন্দারা।

এছাড়া, কয়লা খনি অঞ্চলে কান পাতলেই আসানসোলের পুর পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভের সুর কানে আসে। পুরসভায় তৃণমূলের একাধিপত্য থাকা সত্বেও সাধারণ মানুষ পরিষেবা নিয়ে বেশ বিরক্ত। বরাবরই জলের সমস্য়া তীব্র এই লোকসভা কেন্দ্রে। তবে ঘাসফুল আমলেও সে সমস্য়ার প্রকৃত সমাধান হয়নি। পাশাপাশি, এই নির্বাচনে আসানসোল কেন্দ্রের অবাঙালী ভোটাররাও বিজেপির পক্ষে বড় ভূমিকা পালন করেছে। প্রসঙ্গত, জিতেন তিওয়ারিকে মেয়র পদে বসানো-সহ একাধিক পদক্ষেপের মাধ্যমে অবাঙালী ভোটারদের মন পেতে চেষ্টার কসুর করেন তৃণমূল। তবে সেসব প্রচেষ্টা যে বিশেষ কাজে এল না, তা এদিনের ফলেই স্পষ্ট। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, লোকসভা ভোট হলেও জাতীয় ইস্যুর থেকেও স্থানীয় ইস্যুই বড় ফ্য়াক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে পশ্চিম বর্ধমানের এই কেন্দ্রে। এই মুহূর্তে আসানসোল কেন্দ্রে ভোটের ব্য়বধানে গায়ক প্রার্থী এতটাই এগিয়ে রয়েছেন যে মুনমুন সেনের লড়াইয়ে ফেরা প্রায় অসম্ভব, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

bjp Babul Supriyo General Election 2019
Advertisment