শেষমেশ শনিবার পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল বিজেপি। ওই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হচ্ছেন জ্যোতির্ময় মাহাতো। রবিবার সকালে ঘোষিত হল বর্ধমান-দুর্গাপুর এবং কৃষ্ণগঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর নাম। বর্ধমান-দুর্গাপুর থেকে প্রার্থী হচ্ছেন দার্জিলিঙের সাংসদ এসএস আহলুওয়ালিয়া। কৃষ্ণগঞ্জ থেকে গেরুয়া দলের প্রার্থী হচ্ছেন শ্রী আশিস কুমার বিশ্বাস। ভোটপ্রচার মধ্যগগনে, অথচ এত দিনেও প্রার্থীর নাম ঘোষনা না-হওয়ায় বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন।
২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন জ্যোতির্ময় মাহাতো। ভোট পেয়েছিলেন মাত্র ১১,২১৯টি। তবে তারপর জেলার রাজনৈতিক মানচিত্রের বদল ঘটেছে অনেকটাই। ছাত্র জীবনে যুক্ত ছিলেন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সঙ্গে। একসময় ওড়িশাতেও দলের কাজের দেখভালের দায়িত্ব সামলেছেন। দলের নির্দেশে দীর্ঘ সময় সেখানে কাজ করেছেন। এখন তিনি পুরুলিয়া জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন। স্থানীয় প্রার্থী দেওয়ার জন্য জেলা বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে আবেদন জানিয়েছিল। তাই প্রার্থীর নাম ঘোষণাতে দেরি হলেও খুশি দলের জেলা নেতৃত্ব। বর্ধমান-দুর্গাপুরের প্রার্থী হিসেবে চর্চায় ছিল আহলুওয়ালিয়ার নাম।
আরও পড়ুন, বিজেপির ইশারাতেই পুলিশ অপসারণের সিদ্ধান্ত কমিশনের: মমতা
পুরুলিয়া বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিবেক রঙ্গা বলেন, "জেলা বিজেপি আবেদন করেছিল পুরুলিয়ায় স্থানীয় প্রার্থী দিতে। সর্বভারতীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তিন রাজ্যের দায়িত্বে রয়েছেন জ্যোতির্ময়। তাছাড়া সর্বক্ষণ দলের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। আমাদের লড়াই আরও সহজ হলো।" বছর পঁয়ত্রিশের বিজেপি প্রার্থীর বাড়ি ঝালদার পুস্তি গ্রামে। শনিবার ১৮ তম প্রার্থী তালিকায় নাম ঘোষণা করা হয় পুরুলিয়া বিজেপি প্রার্থীর। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি পুরুলিয়ায় ভাল ফল করেছিল। সূত্রের খবর, ওই কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার ঝোঁক ছিল অনেকেরই। কিন্তু রাজ্য বিজেপিও পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রে স্থানীয় প্রার্থী দিতে চেয়েছিল।
ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পাল বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় তাঁর নাম নিয়েও গুঞ্জন চলছিল দলের অভ্যন্তরে। তবে সে জল্পনায় আপাতত জল ঢেলে দিল দলের সাম্প্রতিক ঘোষণা। বর্ধমান-দুর্গাপুরে প্রচার-সভা, দেওয়াল লিখনের কাজ অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল প্রার্থী ছাড়াই।
তবে এতদিনেও প্রার্থীর নাম ঘোষণা না হওয়ায় দলের জেলা নেতৃত্ব ও কর্মীদের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল। সেক্ষেত্রে সেভাবে ঝাঁপিয়ে প্রচার করতে পারছিল না গেরুয়া শিবির। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মমতাজ সংঘমিতা মনোনয়ন পত্র জমা করে দিয়েছেন। প্রচার করছেন সিপিএম প্রার্থীও।