ঘাটালে দাঁড়িয়ে শনিবার ফের নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করলেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দিদির দূত ট্যাবলোয় করে রোড শোয়ের পর ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের হুঁশিয়ারি, "মেদিনীপুর কারও বাপের সম্পত্তি নয়। মেদিনীপুর মেদিনীপুরের লোকের। কাঁথি কাঁথি লোকের। তমলুক তমলুকের লোকের। হলদিয়া হলদিয়ার লোকের।"
কয়লা-কাণ্ডে স্ত্রীকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে এদিন ফের ঝাঁজালো আক্রমণ তাঁর। বলেন, "সিবিআই দেখিয়ে একজনকে দলে নিয়েছে, সে শিরদাঁড়া বেচে দিয়েছে। আমার শিরদাঁড়া ফর সেল নয়। আমাকে কাটতে পারবেন না। কেটে দিলেও তৃণমূল জিন্দাবাদ বেরোবে, জয় হিন্দ বেরোবে, জয় বাংলা বেরোবে।"
এদিন দিলীপ ঘোষকেও আক্রমণ করেন অভিষেক। বলেন, "মেদিনীপুরের মানুষ এখানে দিলীপ ঘোষকে জিতিয়েছিলেন। করোনা মহামারীর সময়ে তাঁর দেখা পেয়েছিলেন?" যদিও যেখানে এদিন রোড শো করছিলেন অভিষেক, সেটি তাঁর দলেরই সাংসদ দেবের নির্বাচনী ক্ষেত্র। দেবকে নিয়ে একাধিকবার বিরোধীরা অভিযোগ করেছেন, করোনা পর্বে একবারও দেখা যায়নি সাংসদ-অভিনেতার। এমনকী তাঁর জেঠতুতো ভাইয়েরাও অভিযোগ করেন, অনাহার দিন কাটছে তাঁদের। পরে অবশ্য সাহায্য পাঠিয়েছিলেন দেব।
এদিন দিদির দূত ট্যাবলোতে চেপে ঘাটালের নিমতলা মোড় থেকে বিবেকানন্দ মোড় পর্যন্ত রোড শো করেন অভিষেক। রোড শোয় ভিড় ছিল প্রচুর। এদিন তিনি বিজেপিকে হুঙ্কার দিয়ে বলেন, "বিজেপির জমানত জব্দ হবে মেদিনীপুরে।" প্রসঙ্গত, পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূলের কোনও বিধায়কই শুভেন্দুর সঙ্গে বিজেপিতে যাননি। এটা একটা অ্যাডভান্টেজ তৃণমূলের জন্য। কিন্তু জনভিত্তিটাই আসল। এদিন বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি বিজেপি নেতাদের বহিরাগত তকমা দিয়ে স্লোগান দেন, "বহিরাগতদের চিরবিদায়, বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়। মেদিনীপুরের শিরায় শিরায়, বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়।"