এদিন কুলতলিতে জনসভা করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সভার শুরুতে বন্দে মাতরম স্লোগান তোলেন তিনি। তাঁর দাবি, 'যতই নাড়ো কলকাঠি, নবান্নে ফের হাওয়াই চটি। তিনি বলেন, '২০০৮ সালেই এই জেলা বাংলায় পরিবর্তন স্বাদ দিয়েছিল।' আবারও ক্ষমতায় আসবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাবি করেন তৃণমূল সাংসদ। তাঁর অভিযোগ, 'ভিক্টোরিয়ায় উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে বাধা দেওয়া হয়েছে।' তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৩১-০ করার চ্যালেঞ্জ ছোড়েন বিজেপির প্রতি। তাঁর আরও দাবি, 'কুলতুলিতে তৃণমূল প্রার্থী জিতবে। ৫০ হাজারের বেশি ভোটে জিতবে।' তাঁর চ্যালেঞ্জ, 'বাংলায় ভারতীয় জুমলা পার্টির সঙ্গে ১০ কোটি বঙ্গবাসীর লড়াই হবে।'
এদিন তিনি নাম না করে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেছেন, 'একজন নেতা ৩ বছর বাদে ঘুম থেকে উঠে বলেছে অভিষেককে আমি জিতিয়েছি। উনি আমাকে ৫০ হাজারের বেশি ভোটে জিতিয়েছে আর উনি যখন ছিলেন না ২০১৯-এ আমি লাখের বেশি ভোটে জিতেছি। তাই উনি যত কম জেতাবেন ততই আমার ভালো।'
তাঁর দাবি, 'যতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আছেন, বাংলাকে কেউ ভাতে মারত পারবে না।' তাঁর চ্যালঞ্জ, 'পরিসংখ্যান আর উন্নয়নের নিরিখে লড়াই হোক। তোমাদের ১০-০ গোলে হারাব।' তাঁর দাবি, 'আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ দেখাক। মৃত্যু বরণ করব।' পাল্টা সুদীপ্ত সেনের চিঠি তুলে দিয়ে এদিন শুভেন্দু অধিকারীকে তোপ দাগেন তৃণমূল সাংসদ। তিনি বলেন, 'সারদা-কর্তা চিঠিতে লিখেছেন তিনি শুভেন্দু অধিকারীকে ৬ কোটি টাকা দিয়েছেন।' এভাবেই বিজেপি-সহ দলত্যাগী নেতাদের তোপ দাগেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন, 'তোলাবাজ, ঘুষখোর কে? মীর্জাফর কে?'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন