শত চেষ্টাতেই বঙ্গে শান্তিপূর্ণ ভোট অধরা। চতুর্থ দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে কোচবিহারের নিহত হয়েছেন চার জন। দায় স্বীকার করলেও 'আত্মরক্ষার্থে'ই যে গুলি চালানো হয়েছে তা সাফ জানিয়েছে কমিশন। তবুও শনিবারের ঘটনায় অস্বস্তি কাটছে না নির্বাচন কমিশনের। শীতলকুচির ঘটনায় ইতিমধ্যেই রিপোর্ট তলব করা হয়েছে, রাজনৈতিক নেতৃত্বের কোচবিহার প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কমিশন। কিন্তু, আগামী চার দফায় শান্তিপূর্ণ ভোটই যে কমিশনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ তা স্পষ্ট।
বাংলায় শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য জরুরি ভিত্তিতে আগামি কয়েকদিনের মধ্যেই আরও ৭১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে আসছে। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, এই ৭১ কোম্পানির মধ্যে ৩৩ কোম্পানি বিএসএফ, ১২ কোম্পানি সিআরপিএফ, ১৩ কোম্পানি আইটিবিপি, ৯ কোম্পানি এসএসবি এবং ৪ কোম্পানি সিআইএসএফ।
আরও পড়ুন- কমিশনের কড়া নির্দেশ, আজ শীতলকুচি জাচ্ছেন না মমতা
আরও পড়ুন- নেতা-নেত্রীদের ৭২ ঘন্টা কোচবিহারে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা কমিশনের
নজিরবিহীনভাবে এবার ভোট ঘোষণার আগেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে কমিশন। ভোটেও মোতায়েন রয়েছে অতীতের থেকে বেশি বাহিনী। কিন্তু অশান্তি থামানো যায়নি। বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথাম থেকেই পক্ষপাতিত্ব, ভয়দেখানো, মহিলাদের সম্মানহানির অভিযোগ উঠেছে। আর শনিবার চতুর্থ দফার ভোট শীতলকুচির জোড়পাটকিতে সিআইএসএফ জওয়ানদের গুলিতে মারা যান ৪ জন। যা ঘিরে তোলপাড় বাংলার রাজনীতি। তাই প্রশ্ন, অতিরিক্ত বাহিনী এনে কী আদৌ শান্তিপূর্ণ ভোট সম্ভব?
এদিকে, পঞ্চম দফা ভোট থেকে বদলে যাচ্ছে প্রচারের সময়সীমা। ভোটের দিনের ৭২ ঘণ্টা আগে থেকে বন্ধ করতে হবে প্রচার। অশান্তি এড়াতে নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন