২২টি লোকসভার আসনে জয় পেয়েও উল্লাস নেই তৃণমূল ভবনে, ওদিকে ৬, মুরলিধর লেনে শুক্রবারও চলেছে গেরুয়া আবির মাখা-মাখি। সদ্য নির্বাচিত তিন সাংসদ - দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্য নেত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, অর্জুন সিং প্রায় একে একে ঢুকলেন বিজেপির সদর দপ্তরে। তারপর মহিলা মোর্চার রাজ্য নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ অন্য সাংসদরাও এলেন দপ্তরে। আজ অর্থাৎ শনিবার দুপুর দুটোর মধ্যে রাজ্যের বিজয়ী সাংসদদের দিল্লিতে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, জানিয়েছেন রাজ্য সভাপতি।
এদিন সাংবাদিকদের দিলীপ ঘোষ বলেন, "কলকাতায় বিজয় মিছিল করবে বিজেপি। সেই মিছিলে থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। কিন্তু এখনও দিনক্ষণ ঠিক হয়নি।" ভোটের ফল বেরনোর পর রাজ্য জুড়ে হিংসাত্মক ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। তৃণমূল-বিজেপি পরস্পরের বিরুদ্ধে দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপ করছে। তবে "রাজ্যে বিজেপি কর্মীদের ওপর সন্ত্রাস যেভাবে চলছে", তার "উপযুক্ত জবাব" দিতে বিজেপি পিছপা হবে না বলেও জানিয়ে দেন তিনি। পাশাপাশি বিজেপি কর্মীদের হিংসায় না জড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি।
এদিন ফের নাম না করে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন দিলীপ। তিনি বলেন, "অনেকেই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন। তাঁদের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল।" তৃণমূল বিধায়করা কি আপনাকে ফোন করছেন? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "এখনও এই নিয়ে মন্তব্য করব না। দেখুন কী হয়। প্রায় দেড়শো বিধানসভায় বিজেপি এগিয়ে রয়েছে।" এক প্রশ্নের জবাবে দিলীপ বলেন, "অনেকেই মন্তব্য করছেন, সিপিএমের ভোটে বিজেপি জিতেছে, এতে মানুষকে ছোট করা হচ্ছে। এর আগে রাজ্যের মানুষ সিপিএমকে পছন্দ না হওয়ায় তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন। এখন তৃণমূলকে পছন্দ না হওয়ায় বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন।"
এবার এই রাজ্য থেকে বিজেপির ১৮ জন সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। স্বভাবতই এই ফলে খুশি নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ জুটি। এরপর বিজেপির লক্ষ্য বঙ্গ দখল। সেক্ষেত্রে রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সংখ্যাটা বাড়তে চলেছে। বিজেপি সূত্রে খবর, বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ এসএস আহলুওয়ালিয়া ও আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় ফের কেন্দ্রে মন্ত্রী হতে চলেছেন। এবার আহলুওয়ালিয়া ও বাবুল ক্যাবিনেট মন্ত্রী হতে পারেন। দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তেরও কেন্দ্রে মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বাঁকুড়ার সাংসদ ডা. সুভাষ সরকার, লকেট চট্টোপাধ্যায়, এবং বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় স্থান পেতে পারেন।