পেট্রল পাম্পের পর এবার করোনার টিকাকরণের ডিজিটাল সার্টিফিকেট থেকেও সরাতে হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি ও নাম। নির্দেশ দিল কমিশন। বাংলা সহ ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যেই এই নির্দেশ কার্যকর হবে।
ভোটের দিন ঘোষণার পর পরই চালু হয়েছে আদর্শ আচরণ বিধি। তারপরও করোনার টিকাকরণের ডিজিটাল সার্টিফিকেটে কেন থাকবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি এবং নাম? এই নিয়ে আপত্তি জানিয়েই গত বুধবারই তৃণমূলের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয় কমিশনে। যার প্রেক্ষিতে গোটা বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কাছে জানতে চায় নির্বাচন কমিশন। তারপরই করোনার টিকাকরণের ডিজিটাল সার্টিফিকেট থেকে মোদীর নাম ও ছবি বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
জানা গিয়েছে, কমিশন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কাছে জানতে চায়, আদর্শ আচরণবিধি লাগুর পরও কেন পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, কেরালা, তামিলনাড়ু ও পুদুচেরিতে করোনা সার্টিফিকেটে প্রধানমন্ত্রীর ছবি-নাম ব্যবহার করা হচ্ছে? বিধি চালুর পর নির্দিষ্ট কোনও দলের ব্যক্তির ছবি বা নাম সব ধরণের প্রচার বন্ধ রাখথে হবে।
আরও পড়ুন- মোদীর ছবি সরাতে হবে ৭২ ঘন্টায়! ভোটের মুখে কমিশনে বড় জয় তৃণমূলের
জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রক কমিশকে জানায়, টিকাকরণ প্রক্রিয়া কেন্দ্রীয় সরকারের একটি চলমান পক্রিয়া। যা আদর্শ আচরণবিধি লাগুর কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে কার্যকর হয়েছে। এরপরই ভোটমুখী পাঁচ রাজ্য থেকে করোনা টিকাকরণ সার্টিফিকেট থেকে মোদীর ছবি-নাম তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেয় কমিশন।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দেওয়া করোনার ডিজিটাল সার্টিফিকেটে প্রধানমন্ত্রী নাম, ছবি সহ বার্তা আসলে আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ করছে বলে অভিযোগ তোলে তৃণমূল৷ দলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন টুইটারে বিষয়টি নিয়ে প্রথমে সরব হন৷ পরে দলের তরফে বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এই প্রথম নয়, এর আগে ২০১৭ সালে গোয়া, উত্তারাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব ও মণিপুরে নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা থেকে মোদীর ছবি ও নাম সরানোর জন্য কমিশন সংশ্লিষ্ট দফতরের ক্যাবিনেট সচিবকে নির্দেশ দিয়েছিল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন