প্রচার বন্ধ বা ভার্চুয়াল সম্ভব নয়। আগেই জানিয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলো। তাদের সেই আব্দারেই মান্যতা দিল কমিশন। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই প্রচার চলবে। ভোটের দফা কমানোর তৃণমূলের যে দাবি তা কমিশন নাকচ করে দিয়েছে। একই সঙ্গে জারি করা হয়েছে নয়া প্রচার বিধি। নির্বাচন কমিশনের তরফে এদিন জানানো হয়, সন্ধ্যা ৭টা থেকে পরের দিন সকাল ১০টা পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক প্রচার করা যাবে না। তাছাড়া নির্বাচনের আগে সাইলেন্স পিরিয়ড ৪৮ ঘণ্টা থেকে বাড়িয়ে ৭২ ঘণ্টা করা হয়েছে।
অস্বাভিকহারে করোনার দাপাদাপি বাড়ছে। সঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ। এই পরিস্থিতি শুক্রবার সর্বদল বৈঠক হয় কমিশনের ডাকে। জল্পনা তৈরি হয় যে, তাহলে কী আগামী চার দফায় প্রচার বন্ধ থাকবে? একাধিক দফা সংযুক্ত করে ভোটের দিন কমানো হবে? তার প্রেক্ষিতে এদিন এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিজেপি-র তরফে এদিন কমিশনের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বপন দাশগুপ্ত, শিশির বাজোরিয়া। গেরুয়া দলের তরফে কোভিড বিধি মেনেই বাকি দফা ভোটের পক্ষে তাঁরা সওয়াল করা হয়। ভোটের লাইনেও এই বিধি মেনে চলার কথা বলা হয়। তাঁরা সাফ বলেন, যেহেতু প্রথম থেকেই প্রচার চলছে তাই হঠাৎ করে ভার্চুয়াল প্রচারে বিজেপির সায় নেই। ভোটের স্পিরিট যেন কোনওভাবেই নষ্ট না হয় কমিশনে তার আর্জি জানায় বিজেপি।
ইতিমধ্যেই সবরকম বড় জমায়েত এবং রোড শো না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংযুক্ত মোর্চা। জোটের পক্ষ থেকে এদিন কমিশনের কাছে নালিশ জানানো হয়, কোনও রাজনৈতিক দলই কোভিড বিধি মানছে না। একইসঙ্গে সিপিএমের তরফে হাজিরর রবীন দেব, বিকাশ ভট্টাচার্যদের অভিযোগ, কেন নির্বাচনী প্রচারে এখনও কোভিড বিধি লঙ্ঘন হচ্ছে? এক্ষেত্রে কমিশনকে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।
তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, 'আমরা বোঝাতে চেয়েছি তিনটি দফা একদিনে করা হলে মানুষের সংক্রমণের ভয় কম থাকবে। তবে প্রচার বিধি মেনেই হোক। সবাইকেই সতর্ক থাকতে হবে।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন