ঝাড়খণ্ড সরকারের গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রী আলমগীর আলমকে ছয় দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ইডি। ইডি আদালতকে জানিয়েছে, আলমগীর আলম গ্রামীণ উন্নয়ন দফতরের প্রতিটি টেন্ডারে টেন্ডারের জন্য ১.৫ শতাংশ অর্থ কমিশন হিসাবে আদায় করতেন। কমিশনের টাকা মন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিতেন দফতরেরই এক আধিকারিক।
টেন্ডার দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী আলমগীর আলমকে বৃহস্পতিবার রাঁচিতে পিএমএলএর বিশেষ আদালতে পেশ করে ইডি। তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানায় ইডি। রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে আদালত ৬দিনের রিমান্ডের অনুমোদন দেয়। শুক্রবারই তাকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেবে ইডি।
ইডি আদালতকে জানিয়েছে, যে আলমগীর আলম গ্রামীণ উন্নয়ন দফতরের প্রতিটি টেন্ডারে ১.৫ শতাংশ হারে কমিশন নিতেন। গত ৬-৭ মে অভিযান চালিয়ে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়। তদন্ত চলাকালীন, ইডি সম্প্রতি মন্ত্রী আলমগীর আলমের ব্যক্তিগত সচিব সঞ্জীব লাল এবং অন্যান্য সহযোগীদের বাড়িতে অভিযান চালায়।
৬ এবং ৭ মে অভিযানে, ইডি মোট ৩৭.৫ কোটি টাকা উদ্ধার করে। এর মধ্যে মন্ত্রী আলমগীর আলমের ব্যক্তিগত সচিব সঞ্জীব কুমার লালের গৃহকর্মী জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি থেকে ৩২.২ কোটি টাকা পাওয়া গেছে।
ইডি আদালতকে জানিয়েছে, এই গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে। আরও বিশদ তদন্তের জন্য মন্ত্রী আলমগীর আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। এর ভিত্তিতে ইডি দশ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়েছিল, যার ভিত্তিতে ইডিকে মাত্র ছয় দিনের জন্য অনুমতি দেয় আদালত।