দাপিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। পরিস্থিতি ভয়াবহ। গুরুত্ব বুঝে তড়িঘড়ি সর্বদল বৈঠক ডাকল নির্বাচন কমিশন৷ আগামী শুক্রবার দুপুর ২টোয় সিইও-র দফতরে ১০টি স্বীকৃত রাজনৈতিক দলকে নিয়ে কমিশন বৈঠকের ডাক দিয়েছে। প্রতিটি রাজনৈতিক দল থেকে একজন করে প্রতিনিধিত্ব করবেন৷
রাজনৈতিক সমাবেশে বা যে কোনও ধরনের জমায়েতে নির্বাচন কমিশনকে কোভিড বিধি যথাযথভাবে পালন করানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করণ নায়ার রাধাকৃষ্ণণের ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন কী কী উদ্যোগ নিল, সেই নিয়ে সাতদিনের মধ্যে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে হলফনামা পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিধিভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধেও কমিশনকে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতেও নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
এরপরই বুধবার সর্বদল বৈঠকের ডাক দিল কমিশন।
জেলাস্তরে নির্বাচনি প্রচারে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ভোট প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কিনা তাতে নজরদারিতে জেলা নির্বাচনী আধিকারিক এবং পুলিশ সুপারদের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাদাভাবে সর্বদলীয় বৈঠক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।
উল্লেখ্য, জনস্বার্থ মামলার রায়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করণ নায়ার রাধাকৃষ্ণণের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনী প্রচার হোক বা অন্য যে কোনও ক্ষেত্র বড় ভিড় এড়াতে হবে৷ প্রচার সভা বা কর্মসূচিতে যাতে মাত্রাতিরিক্ত ভিড় না হয়, জেলাশাসক এবং রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিককে দায়িত্ব নিতে হবে৷ করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারলে দায়ী থাকবে নির্বাচন কমিশন৷ যদি কোথাও করোনা বিধি ভঙ্গ হয়, তার জন্য জেলাশাসক ব্যক্তিগতভাবে দায়বদ্ধ থাকবেন। প্রতিটি রাজনৈতিক দলকেই ভোটপ্রচার করতে হলে তার সঙ্গেই করোনা সচেতনতা ব্যবস্থা করতে হবে৷ প্রয়োজনে লিফলেট বিলি করতে হবে৷ প্রত্যেকের মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে বলা হয়েছে৷ ভোটকেন্দ্রে স্যানিটাইজার ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক ভাবে রাখতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন