Advertisment

Lok Sabha Election 2019: '১৪ তে শুধু মোদী ছিল, এবার কাজও আছে'

" আপনারা ভারতের সেনাপ্রধানকে গুন্ডা বলছেন। পাক সেনাপ্রধানকে আপন করে নিচ্ছেন। জেএনইউতে যারা বলছে ভারত ভাগ হবে, তাঁদের সমর্থনে আপনারা বাক স্বাধীনতার কথা বলছেন।"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
2019 loksabha vote, bjp, amit shah,

কালিম্পংয়ের জনসভায় অমিত শাহ।

তিনি দলের দু'নম্বরে রয়েছেন। ভোটের পাটিগণিত তাঁর নখদর্পণে। একসময়ের গুজরাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, অধুনা ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি। অমিত শাহ। নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে ৯৬টি সভা করেছেন এখনও পর্যন্ত। সেঞ্চুরি হয়ে যাবে সপ্তাহের শেষেই। চূড়ান্ত ব্যস্ততার মাঝেই সময় দিলেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে।

Advertisment

প্রঃ ২০১৪ সালে নির্বাচনী প্রচার চালানো অমিত শাহ আর ২০১৯ সালের প্রচারের অমিত শাহের মধ্যে তফাত কতটুকু?

উঃ ২০১৪ তে আমাদের কাছে শুধু মোদী জির নাম ছিল। এখন নামও আছে, কাজও আছে। আর মোদীর কাছ থেকে দেশের অগুনতি মানুষের প্রত্যাশাও রয়েছে।

প্রঃ সমালোচকরা বলেন নিজেদের কাজের ওপর জোর না দিয়ে আপনার দল জাতীয়তাবাদ উসকে দিয়ে পাকিস্তান বিরোধী আবেগকে কাজে লাগাতে চান। এই বিষয়ে কীএ বলবেন?

উঃ পাকিস্তান নিয়ে সমস্যা নেই। বিষয়টি জাতীয় নিরাপত্তার। এই দু'টি বিষয় গুলিয়ে ফেলছেন যারা সেটা তাঁদের সমস্যা। আর গণতন্ত্রে জাতীয়তাবাদের প্রসঙ্গ আসাই দরকার। মানুষের মধ্যে জাতীয়তাবাদের ভাবাবেগ জাগিয়ে তোলায় কোনও ভুল নেই।

প্রঃ  বাজপেয়ী সরকারের আমলে শরিক দলের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক খুব মসৃণ না থাকা সত্তেও সেই জমানাতেই পোখরান হয়েছিল, জাতীয় সড়ক, টেলিকম এবং বিদ্যুৎ সংস্কার হয়েছিল। এনডিএ জমানায় আর.এস.এস অনেক নরম। কিন্তু মোদী সরকার নতুন কী করল?

উঃ আমরা যখন ক্ষমতায় এলাম, বিশ্বের অর্থনীতিতে আমাদের স্থান ছিল ১১ নম্বরে। এখন আমরা ৬ নম্বরে, খুব শিগগির পঞ্চম স্থানে চলে আসতে পারব। আন্তর্জাতিক সীমান্তে নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা হাল্কা ভাবে নিই না, বুঝিয়ে দিয়েছি। ৫০ কোটি মানুষের জীবন বদলেছি আমরা। আপনি দুটো পাঁচ বছরের মধ্যে তুলনা করছেন। আমি বলছি শেষ পঞ্চাশ বছরের সঙ্গে বিগত পাঁচ বছরের তুলনা করে দেখুন। কংগ্রেস গরিবি হটাও স্লোগান দিয়ে ৭০ বছরে ১৩ কোটি মানুষকে এলপিজি সিলিন্ডার দিল। এদের মধ্যে মাত্র ৭ কোটি পৌঁছল সত্যকারের গরিবদের কাছে। দেশের ৯৮ শতাংশ ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে পেরেছি আমরা। পরবর্তী পাঁচ বছরে বাকি ২ শতাংশের ঘরেও পৌঁছে দেব। আমরা ক্ষমতায় আসার আগে ১১ কোটি পরিবারের কাছে শৌচাগার ছিল না। আমরা ৮ কোটি পরিবারকে শৌচাগার দিয়েছি। আগামী পাঁচ বছরে বাকিদের ঘরেও পৌঁছে দেব।

প্রঃ এত কিছু করেও গত বছর পাঁচ রাজ্যের মধ্যে তিন রাজ্যের বিধানসভায় হেরে যাওয়ার পর মনে হচ্ছিল আপনারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।  কত নতুন প্রকল্প চালু করতে হল আপনাদের। কেন?

উঃ আপনারা সাংবাদিকদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখছেন। প্রশাসনের দিক থেকে দেখার চেষ্টা করুন। দেশের আর্থিক ঘাটতি কে ৬ শতাংশ থেকে ৩.৫ শতাংশে আনতে কিছু সময় তো লাগবেই। আর অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়াদের জন্য সংরক্ষণ আদৌ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়, এটি সামাজিক সিদ্ধান্ত। ভোটের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্কই নেই।

আরও পড়ুন, ‘সুন্দর চেহারা দেখে কেউ ভোট দেবে না’, সন্ধ্যা-মুনমুনকে কটাক্ষ দিলীপের

প্রঃ তিন রাজ্যে নিজেদের ভরাডুবির পর কারণ বিশ্লেষণ করেছিলেন?

উঃ আমি ভরাডুবি হিসেবে এটাকে দেখছিই না। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিসগড়ে আমরা নিজেদের জমি হারিয়ে ফেলিনি। শাসক বিরোধী একটা ঢেউ চলছিল, তাই জিততে পারিনি। কিন্তু খুব বিশাল সংখ্যক ভোটে হারিনি।

প্রঃ আপনি একটু আগেই বললেন, জাতীয়তাবাদ গণতন্ত্রের একটা বড় আলোচ্য বিষয় হতেই পারে। তবে অনেকেই মনে করছেন, বিজেপি নিজেকে জাতীয়তাবাদের ঠিকাদার ভাবতে শুরু করেছে, যেমন আপনাদের কথা অনুযায়ী বামেরা নিজেদের ধর্ম নিরপেক্ষতার ঠিকাদার মনে করে।

উঃ একেবারেই না। আমি একবারও মনে করছি না আমরা, আমাদের দল যা বলছে, সেটাই জাতীয়তাবাদী হওয়ার মাপকাঠি। আমি মনে করি যারা ভারত ভাগ করতে চায়, তারা জাতীয়তাবাদী নন, হতে পারেন না। এটা আমার সংজ্ঞা। ভোটাররা ঠিক করবেন তাঁরা কোন সংজ্ঞা মানবেন। এত বড় একটা দেশ, জাতীয়তাবাদ না থাকলে টিকতেই পারবে না।

প্রঃ এর আগে আমরা রাজনীতিতে জনবিরোধী, দরিদ্রবিরোধী শব্দ গুলো শুনেছি। এখন আমরা শুনছি , "আপনি দেশদ্রোহী, আপনি পাকিস্তানের পক্ষে'। এই ধারা কী ভাবে এল?

উঃ এটা দেশের মানুষই নিয়ে এসেছে। আপনারা ভারতের সেনাপ্রধানকে গুন্ডা বলছেন। পাক সেনাপ্রধানকে আপন করে নিচ্ছেন। জেএনইউতে যারা বলছে ভারত ভাগ হবে, তাঁদের সমর্থনে আপনারা বাক স্বাধীনতার কথা বলছেন। সেখান থেকে এই সংস্কৃতির জন্ম হচ্ছে। নভজোত সিং সিধুকে তো আমরা বলিনি পাক সেনাপ্রধানকে জড়িয়ে ধরতে। এটা উনি নিজে থেকে করেছেন।

Read the full interview in English

bjp amit shah
Advertisment