অমিত শাহ অভিযোগ করেছেন, “আমার মিছিলে দু জায়গায় হামলা চালানো হয়েছে। এভাবে গণতন্ত্র রক্ষা করা যায়! মানুষ এর জবাব দেবে। বিবেকানন্দর মূর্তিতে মালা পর্যন্ত দিতে পারি নি।” উল্লেখ্য, সিমলা স্ট্রিটে স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক বাসভবনে শেষ হওয়ার কথা ছিল অমিত শাহর মিছিল। তাঁর মন্তব্যের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাল্টা, “মিছিল করেছেন শাহেন শা। এদিন বাইরের রাজ্য থেকে লোক এনে মিছিল করা হয়েছে। লোক নেই তো মিছিল করার দরকার কী ছিল?”

বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ধর্মতলায় রোড শো শুরু করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। অমিত শাহর সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়, দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের প্রার্থী রাহুল সিনহা ও দক্ষিণ কলকাতার প্রার্থী চন্দ্র বোস। মিছিল গাঁদা ফুল ছড়ানো দিয়ে শুরু হয়েছিল। সঙ্গে ছিল গান বাজনার ব্যবস্থা। নানা প্রাদেশিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল রোড শোতে। ধর্মতলা থেকে শুরু হওয়া মিছিল কলেজ স্ট্রিট যেতে সময় নেয় প্রায় দু ঘন্টা।
রোড শো কলেজ স্ট্রিটে পৌঁছতেই ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে যায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের ভিতর থেকে অমিত শাহকে কালো পতাকা দেখাতে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন। বড় ব্যানার টাঙিয়ে তা আড়াল করার চেষ্টা করে পুলিশ। অমিত শাহর বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। মিছিল থেকে ইঁট, পাটকেল ছুড়তে থাকে। পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা শুরু করে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।

কলেজ স্ট্রিট থেকে মিছিল এগিয়ে যেতে বিধান সরণিতে বিদ্যাসাগর কলেজে টিএমসিপির কর্মী-সমর্থকরা ফের কালো পতাকা দেখাতে শুরু করে বিজেপি সভাপতিকে। এবার রণক্ষেত্র হয়ে যায় বিদ্যাসাগর কলেজ এলাকা। কলেজের গেটের সামনে থাকা তিনটি বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ইঁট, বোতল ছোড়া শুরু হয়ে মিছিল থেকে। কলেজের সামনে থাকা বিদ্যাসাগরের মূর্তিও ভেঙে ফেলা হয়। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে বাইক। এদিকে ঘটনাস্থলে চলে আসে বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।