আগামী বৃহস্পতিবার বীরভূমের ১১ আসনে ভোট। তার আগেই শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য কড়া পদক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন। ভোটের আগে থেকেই বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করার সিদ্ধান্ত নিল কমিশন। আজ বিকেল ৫টা থেকে আগামী শুক্রবার সকাল ৭টা পর্যন্ত কমিশনের নজরবন্দি থাকবেন অনুব্রত মণ্ডল। এই সময়কালে তাঁর গতিবিধি নজরে রাখবে কমিশন। করা হবে ভিডিওগ্রাফি। দোর্দদণ্ডপ্রতাপ এই তৃণমূল নেতার সঙ্গেই থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও একজন ম্যাজিস্ট্রেট।
কমিশনের পদক্ষেপের পরই সংবাদ মাধ্যমকে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, 'আমাকে গৃহবন্দি করা হয়নি। নজরবন্দি করেছে কমিশন। এর আগেও করেছিল ওরা। ভোটের দিন বাড়ি থেকে অফিসে যাব, আর যা যা করি সবই করব। অসুবিধার কিছুই নেই। তবু খেলা হবে। ভয়ঙ্কর খেলা হবে।'
অনুব্রতবাবুকে কমিশন 'নজরবন্দি' করতে পারে বলে সম্প্রতি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি ভার্চুয়াল প্রাচারসভা থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলন, 'এবার নজর বন্দি করলে অনুব্রতকে বলব আদালতে যেতে'। কিন্তু মমতার সেই আশঙ্কাই সত্যি হল।
তবে, এই প্রথম নয়। এর আগেও দু'বার ভোটের সময় নজরবন্দি করা হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। ২০১৬-র বিধানসবা ও ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের সময় বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতিতে নজরবন্দি করেছিল কমিশন। এবার ফের একই পদক্ষেপ করল কমিশন। ভোট ঘোষণার পর থেকে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে।অনুব্রত মণ্ডলের রেকর্ড খতিয়ে দেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।
এখন দেখার নেত্রীর পরামর্শ মেনে কমিশনের 'নজরবন্দি'র বিরুদ্ধে অনুব্রত মণ্ডল আদৌ আদালতে যান কি না।
বীরভূমে ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে তৎপর কমিশন। এর আগে বীরভূমের পুলিশ সুপার পদে নিযুক্ত করা হয়েছে আইপিএস নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীকে। সোমবারই সপ্তমদফার ভোট চলাকালীন জেলা পুলিশের উচ্চস্তরেও রদবল করা হয়েছে। এর আগে মমতার প্রিয় কেষ্ট মণ্ডলকে তাঁর 'খেলা হবে' ও 'পগার পার' মন্তব্য নিয়ে কমিশনের শোকজের মুখে পরতে হয়েছে।
সবদিক বিচার করেই ভোটের আগে অনুব্রত মণ্ডলকে 'নজরবন্দি'র মতো কড়া সিদ্ধান্ত নিল কমিশন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন