এবারের লোকসভা ভোট হবে নরেন্দ্র মোদী বিরোধী অ্যাজেন্ডার ওপর ভিত্তি করে। ভোটের অংককে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করার চেষ্টা করছে একটি এলোমেলো রাজনৈতিক গোষ্ঠী। এ দুই মন্তব্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলির। সোমবার তিনি এ কথা বলেছেন।
নিজের ফেসবুক ব্লগ “Agenda for 2019 – Modi Vs. Chaos”-এ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী দাবি করেছেন, উত্তর প্রদেশ ও কর্নাটক বাদ দিলে বাকি জায়গায় ২০১৯ সালে ২০১৪- লোকসভা ভোটের পুনরাবৃত্তি ঘটবে। তবে উত্তরপ্রদেশে বসপা-সপা জোট এবং কর্নাটকে জেডি(এস) অংকে কিছুটা বদল ঘটাবে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
জেটলির বক্তব্য, "উত্তর প্রদেশ এবং কিছুটা কর্নাটক ব্যতিরেকে ভোটের এংক ২০১৪ সাল থেকে খুব কিছু পাল্টাবে না বলেই মনে হচ্ছে। এই দুই রাজ্যে পুরো জোর থাকে জাতিভিত্তিক জোটের ওপর। জাতি ভিত্তিক জোট ভোটে বদলানো তত সহজ নয়। এলাকার রসায়ন থাকে। অনেক রকম বোঝাপড়াই শেষ পর্যন্ত তত্ত্বগত বোঝাপড়া ছাড়া আর কিছু দাঁড়ায় না।"
তিনি বলেন, " ৫০ শতাংশ ভোটে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য বিজেপি ও এনডিএ-কে প্রস্তুত থাকতে হবে। তবে কোনও কোনও রাজ্যে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।"
মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলির জোটের চেষ্টাকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন এই বিজেপি নেতা। তাঁর মতে মহাজোটের অ্যাজেন্ডা নেতিবাচকতায় ভরপুর এবং "মানুষ ৫ বছরের সরকার চায়, ৬ মাসের নয়।"
কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিরোধী নেতাদের সমাবেশ নিয়েও মুখ খুলেছেন জেটলি। "ওপর ওপর দেখে মনে হয় এ সমাবেশ মোদীবিরোধী। কিন্তু আরও তাৎপর্যপূর্ণভাবে এ সমাবেশ রাহুল গান্ধীহীনতার সমাবেশ। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি মোদীকে চ্যালেঞ্জ করতে চারজন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রত্যাশীকে সামনে এনেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া বাকিরা হলেন রাহুল গান্ধী, মায়াবতী এবং কেসিআর।" জেটলি বলেছেন, "মুখে ভবিষ্যতের কথা বললেও কোনও নেতার ভাষণে কোনও ইতিবাচক আইডিয়ার কথা শোনা যায়নি।"