একদিন আগেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে 'প্রশ্ন' উঠেছে। স্মৃতির হয়ে সওয়াল করতে এবার রাহুল গান্ধীকে পালটা আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। শনিবার ফেসবুকের সাম্প্রতিকতম এক ব্লগে জেটলি লিখেছেন, স্নাতকোত্তর ছাড়াই এম ফিল করেছেন কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী।
সোশাল মিডিয়ায় জেটলি লিখেছেন "রাহুলের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বহু প্রশ্নের জবাব মেলেনি। যখন বিজেপি প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তখন রাহুল গান্ধীর শিক্ষা নিয়ে তৈরি হওয়া প্রশ্নগুলোর কথা আমরা ভুলে গেছি"।
২০০৯ সালে রাহুল গান্ধীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছিল, তিনি ট্রিনিটি কলেজ থেকে ১৯৯৫ সালে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেন।
আরও পড়ুন, পুলওয়ামার জেরে মুম্বইয়ের দোকানের কাঁধে ১ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকার বোঝা
প্রসঙ্গত শুক্রবার ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের আমেঠি আসনের বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানি নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছেন, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি স্নাতক শেষ করেননি। অথচ ২০১৪ সালের নির্বাচনী হলফনামায় স্মৃতি জানিয়েছিলেন ১৯৯৪ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ওপেন লার্নিংয়ে ভর্তি হয়েও তিন বছরের ব্যাচেলর অব কমার্স পাশ করেন তিনি।
আমেঠিতে স্মৃতির প্রতিদ্বন্দীর শিক্ষাগত যোগ্যতার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেই ক্ষান্ত হননি অরুণ জেটলি। 'সিগনেচার ক্যাম্পেন প্রোপাগান্ডা সম্পর্কে তাঁর প্রতিক্রিয়া, "এই প্রচার একেবারেই কংগ্রেসের পক্ষে যাচ্ছে না। দেশের নানা অর্থনীতিবিদ, শিল্পী, প্রাক্তন সেনাদের যে সই কংগ্রেস সংগ্রহ করেছে, তা জোর করে। জনসমক্ষে অনেকেই বলেছেন ওই সই দিতে সম্মতি ছিল না তাঁদের।
"চূড়ান্ত জনপ্রিয় একটি সরকার এবং ততোধিক জনপ্রিয় এক প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হলে কাল্পনিক কোনও কারণ তৈরি করলে হবে না, আসল কারণের ভিত্তিতে লড়াই হবে। রাফালে এবং ইভিএম কেলেঙ্কারি ভুয়ো প্রমাণ হয়েছে আগেই", বলেছেন জেটলি।
Read the full story in English