সোমবার চতুর্থ দফার লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম নজরকাড়া কেন্দ্র আসানসোল। আর এই আসানসোলেই ভোটের সকালে বচসায়া জড়ালেন বিজেপি প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। বিক্ষোভের মুখে পড়ে ভাঙল এই গায়ক-রাজনীতিকের গাড়ির কাচও। এদিন সকালে বুথে ঢুকে প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়ান বাবুল। তৃণমূল পোলিং এজেন্টকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এরপর বুথ থেকে বেরনোর সময় তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান উপস্থিত জনতা, ভাঙা হয় গাড়ির কাচ।
আরও পড়ুন তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ নানুর
ঘটনাটা ঠিক কী?
আসানসোলের বারাবনির ১৯৯ নং বুথে বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়কে ঘিরে সকাল সকাল তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়। ওই বুথে বিজেপি এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন বাবুল। ক্ষোভপ্রকাশ করতে গিয়ে উপস্থিত তৃণমূল এজেন্টদের সঙ্গে বচসায় জড়ান কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। তৃণমূল এজেন্টদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগও ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, "ভোটের পরে দেখে নেবো" বলে হুমকি দেন বাবুল। বিজেপি এজেন্টের না থাকা নিয়ে বুথে উপস্থিত প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গেও একপ্রস্থ তর্কাতর্কি হয় বাবুল সুপ্রিয়র। এরপরই রীতিমতো হুঙ্কারের সুরে প্রিসাইডিং অফিসারকে তিনি বলেন "এখানে বিজেপি এজেন্ট কেন নেই? খুঁজে, ধরে নিয়ে আসুন আপনারা"। এদিন বুথের মধ্যে বাবুল সুপ্রিয়র কথা বলার ভঙ্গি নিয়েই মূলত প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল কর্মীরা।
তৃণমূল কর্মী-এজেন্ট ও প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে বাদানুবাদের পর বুথ থেকে বেরনোর সময় বাবুলের গাড়ি আটকে শুরু হয় বিক্ষোভ। এই বিক্ষোভে শামিল হন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। বাবুল সুপ্রিয়র নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআরপিএফ জওয়ানদের সঙ্গেও ধস্তাধস্তি বাঁধে তৃণমূল কর্মীদের। এরপরই বিক্ষোভকারীরা গাড়ির কাচ ভেঙে দেন। এরপর ঘটনাস্থল থেকে নিজেই গাড়ি চালিয়ে বেরিয়ে যান বাবুল সুপ্রিয়। কিছু দূর গিয়ে পথে এক পুলিশকর্মীকে দেখতে পান বাবুল। ক্ষোভের সুরে পুলিশকর্মীকে তিনি বলেন, "কোথায় ছিলেন এতক্ষণ? বেড়াতে বেড়িয়েছেন?"
আরও পড়ুন রণক্ষেত্র দুবরাজপুর, ‘গুলি চালাল’ কেন্দ্রীয় বাহিনী