বুথফেরত সমীক্ষা জানিয়েছে, এবার বিধানসভা নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। তার মধ্যেই একদল সমীক্ষক বিজেপি এবং অন্যদল কংগ্রেসের জয়ের পূর্বাভাস দিয়েছে। দেশের 'হার্টল্যান্ড' বলে পরিচিত এই রাজ্যে জিততে মরিয়া বিজেপি এবং কংগ্রেস উভয় দলই। বিজেপির বিরুদ্ধে 'অ্যান্টি-ইনকাম্বেন্সি' ভোটকে হাতিয়ার করে ২০১৮ সালে ক্ষমতায় ফিরেওছিল কংগ্রেস। কিন্তু, বিজেপির চালে ২০২০ সালের মধ্যে ১৫ মাসের সরকারের পতন ঘটে। ফের ক্ষমতায় ফেরে বিজেপি। সেই হিসেবে, ২০০৩ সাল থেকে মধ্যপ্রদেশ বিজেপির দখলে।
Advertisment
যাদের দিকে নজর এবারের ভোটের ফল শুধু মধ্যপ্রদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের কমল নাথেরই ভাগ্য নির্ধারণ করবে না। উভয় দলেরই অন্যান্য প্রবীণ নেতাদেরও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ স্থির করে দেবে। বিজেপি নেতৃত্ব এবারের নির্বাচন উতরোতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর, প্রহ্লাদ প্যাটেল ও ফাগ্গান সিং কুলাস্তে-সহ বেশ কয়েকজন হাই প্রোফাইল নেতা-সাংসদকে প্রচারে নামিয়েছিল। কুলাস্তে ও বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ও এই নির্বাচনে লড়েছেন। এবারে, ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত এক-পর্বের ভোটে, মধ্যপ্রদেশে তার সর্বকালের সর্বোচ্চ ৭৬.২২% ভোট পড়েছে।
এক্সিট পোল কী বলেছে? কিছু এক্সিট পোল অন্য কথা বললেও বেশিরভাগ সংস্থার এক্সিট পোলই জানিয়েছে যে বিজেপিই মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতায় ফিরবে। ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়া বিজেপিকে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েছে। তারা বলেছে যে বিজেপি ১৪০-১৬২ আসনের মত পেতে পারে। এবিপি সি-ভোটার সমীক্ষা বলেছে যে কংগ্রেস ১১৩-১৩৭ আসন পেতে পারে। আর বিজেপি ৮৮-১১২ আসনের মত পেতে পারে। টাইমস নাউ-ইটিজি রিসার্চ পোল বলেছে, বিজেপির ১০৫-১১৭ আসন পেতে পারে। আর, কংগ্রেস পেতে পারে ১০৯-১২৫ আসন। নিউজ ২৪-চাণক্য এবং ইন্ডিয়া টিভি সিএনএক্স সমীক্ষায় বিজেপিকে স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েছে। একই কথা বলেছে রিপাবলিক টিভির সমীক্ষাও।
২০১৮ সালের ফলাফল পাঁচ বছর আগে, ২০১৮ সালের নির্বাচনে একটি ত্রিশঙ্কু বিধানসভা তৈরি হয়েছিল। কংগ্রেস ১১৪টি আসন নিয়ে একক বৃহত্তম দল হয়েছিল। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে তাদের ছিল মাত্র দুটি আসন কম। বিজেপি পেয়েছিল ১০৯টি আসন। পাশাপাশি বিএসপি, সপা এবং নির্দলরা যথাক্রমে ২, ১ ও ৪ আসনে জয়ী হয়েছিল।