নির্বাচনের বাদ্যি বাজতেই চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। আগেরবার বলেছিলেন, বিজেপি দুই অঙ্ক পার করতে পারবে না। আর এবার তাঁর স্পষ্ট ঘোষণা, বাংলার মানুষ ঘরের মেয়েকেই আপন করে নেবেন। এখানেই না থেমে তাঁর হুঙ্কার, নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিনে তাঁর কথা না মিললে জবাবদিহি করবেন তিনি। অর্থাৎ টুইটটিকেই তাঁর শেষ কথা হিসেবে ধরে নিতে বলছেন শাসক শিবিরের ভোট কুশলী।
শনিবার নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে প্রশান্ত কিশোর লেখেছেন, 'দেশের গণতন্ত্র রক্ষার অন্যতম বৃহৎ মহারণটা লডা হবে বাংলায়। সেই লড়াইয়ে বার্তা দিতে বাংলার মানুষ প্রস্তুত। সময় মতো সঠিক জবাব দিতে বদ্ধপরিকর তাঁরা।' কী সেই জবাব? টুইটেই তৃণমূলের নতুন স্লোগান তুলে ধরে প্রশান্তের জবাবে 'বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়।'
আরও পড়ুন- “বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে এক দফায় ভোট”
আরও পড়ুন- বঙ্গ বিজয়ে লড়াই এবার কাঁটায় কাঁটায়, কী কৌশল যুযুধান বিজেপি-তৃণমূলের?
এরপরই মোক্ষম চ্যালেঞ্জ চুড়েছেন তিনি। লিখেছেন, ২রা মে (নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিন) আমার আগের টুইটটি-র কথা মনে রাখবেন।' কথা না মিললে জবাবদিহি করার ইঙ্গিত স্পষ্ট। শনিবারের টুইটটিকে তাঁর শেষ কথা হিসেবে ধরে নিতে বলছেন প্রশান্ত কিশোর।
এবার ভোটে বিজেপির ভাগাভাগির রাজনীতি, বাঙালির আবেগ, উন্নয়ন-অনুন্নয়নের সঙ্গেই তৃণমূল পুঁজি করেছে বঙ্গে মহিলাদের সম্মান-ক্ষমতায়ণের বিষয়টিকে। একদিকে 'বহিরাগত' বনাম বাঙালি তত্ত্বটি, অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরের মেয়ে ভাবমূর্তি জিইয়ে রাখার কৌশল হিসাবে অনেক ভেবেচিন্তেই দিন কয়েক আগে ধূমধাম করে 'বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়' স্লোগান প্রকাশ্যে আনে তৃণমূল। যা প্রশান্তেরই মস্তিষ্ক প্রসূত বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। এতদিন সেই স্লোগান নিয়ে কিছু না জানালেও ভোট ঘোষণা হতেই বাংলার রাজনৈতিক ভবিষ্যদ্বানী জানাতে চ্যালেঞ্জের পুঁজি হিসাবে কিশোর তৃণমূলের স্লোগান ব্যবহার করলেন। ভোটের বাংলায় রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যবাহী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন