করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল গোটা দেশ। একাধিক রাজ্যের মতো বাংলাতেও কোভিডের বাড়বাড়ন্ত। দৈনিক সংক্রমণ ৮ হাজার ছুঁইছুঁই। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। এর মধ্যে রাজ্যে চলছে বিধানসভা নির্বাচন। বাকি আর তিন দফার ভোটগ্রহণ। তার আগে বিশাল জনসভা, রোড শোয়ে লাগাম টানতে চাইছে কমিশন। এই অবস্থায় বড় ঘোষণা করলেন রাজ্যের বিদায়ী মন্ত্রী তথা ভবানীপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। কোভিড পরিস্থিতিতে কোনও বড় জনসভা করবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, "ভোটের মধ্যে আর কোনও বড় জনসভা ভবানীপুর কেন্দ্রে করব না আমি। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য এই সিদ্ধান্ত। আগের প্রত্যেকটি নির্বাচনে যেরকম সভা করেছি, এবার সেটা থেকে বিরত থাকছি। সবাইকে অনুরোধ, দয়া করে মাস্ক পরুন এবং সুরক্ষিত থাকুন।" রাজনৈতিক মহলের মতে, অত্যন্ত ব্যতিক্রমী এবং জনস্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। কিছুদিন আগেই তিনিও করোনা থেকে সেরে উঠেছেন। তার মধ্যে নির্বাচনী প্রচার ও জনসভায় সংক্রমণের আশঙ্কা থাকছে। তাই পরিস্থিতি মাথায় রেখে এই ঘোষণা শোভনদেবের।
এদিকে, এবার বাংলায় বাকি সমস্ত নির্বাচনী সভা বাতিল করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন যেভাবে পশ্চিমবঙ্গের করোনা বাড়ছে সেই আবহে সমস্ত রাজনৈতিক মিছিল মিটিং র্যালি বাতিল করছেন সোনিয়া পুত্র। পাশাপাশি তিনি বাকি রাজনৈতিক নেতাদেরও এই একই কাজ করার আর্জি জানিয়েছেন। রাহুল এদিন টুইটে আবেদন করেন যে, ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত রুখতে সব দলের নেতারা যেন বাকি দফার জন্য স্থগিত রাখেন তাঁদের মিছিল মিটিং।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণের কারণে ইতিমধ্যে সিপিআইএম তথা বামফ্রন্টের তরফে কোনওরকম বড় নির্বাচনী জমায়েত আর হবে না বলেই জানানো হয়েছে। এই পদক্ষেপ ‘নজিরবিহীন’ এমনই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কিন্তু আপাতত মিটিং মিছিল চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি ও তৃণমূল নেতারা। রবিবার একাধিক জনসভা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অমিত শাহ।