শনিবার, ৭ নভেম্বর তৃতীয় তথা শেষ দফার নির্বাচন ঘিরে টানটান উত্তেজনা বিহারে। বিহারের সীমাঞ্চলে তৃতীয় দফার ভোটে পাল্লা ভারী আরজেডি নেতৃত্বাধীন মহাজোটের। কিষাণগঞ্জ, আরারিয়া, কাটিহার, পূর্ণিয়া, মাধেপুরা, মিথিলাঞ্চল, মুজফ্ফরপুর এবং সীতামারির মতো অঞ্চলের ৭৮টি কেন্দ্রে ভাগ্য নির্ধারণ রয়েছে। সীমাঞ্চলে মহাজোট ধারে-ভারে এগিয়ে রয়েছে শাসকগোষ্ঠী এবং তৃতীয় ফন্টের থেকে। এই দফায় ১৬টি আসনে লড়ছেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল এআইএমআইএম। মূলত, মুসলিম অধ্যুষিত কেন্দ্রগুলিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে মহাজোট এবং মিমের প্রার্থীদের মধ্যে। এখানে তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে শাসকগোষ্ঠী এনডিএ জোট।
সীমাঞ্চল বরাবরই আরজেডি-কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি। ২০১০ সালের নির্বাচনে সীমাঞ্চলই লজ্জার হাত থেকে বাঁচিয়েছিল মহাজোটকে। সেবার ২৪৩টি আসনের মধ্যে ২০৬টি আসনে জিতে ক্ষমতায় আসে নীতীশের নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। কোশী এলাকাতেও এনডিএ-কে টক্কর দিতে পারে মহাজোট। সহরসা কেন্দ্রে প্রাক্তন সাংসদ আনন্দ মোহনের স্ত্রী লাভলি আনন্দ আরজেডির শক্তিশালী প্রার্থী। বিহারীগঞ্জ কেন্দ্রে কংগ্রেসের টিকিটে লড়ছেন শরদ যাদবের মেয়ে সুহাসিনী রাজ। সারা জীবন যিনি কংগ্রেসের বিরোধিতা করেছেন, সেই প্রাক্তন জেডিইউ সাংসদ শরদ যাদবের মেয়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়ে চমকে দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন “১০ নভেম্বরের পর তেজস্বীর কাছে মাথা নত করবেন নীতীশ!”, কটাক্ষ চিরাগের
অন্যদিকে, মিথিলাঞ্চলে বাজি ধরে আছে এনডিএ জোট। দ্বারভাঙ্গা এবং মধুবনী নীতীশের দলের শক্ত ঘাঁটি। এখানে আরজেডি কতটা সুবিধা করতে পারে সেটাই দেখার। তবে পিছিয়ে নেই ওয়েইসির দলও। মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় মিমের হাতে খেলা ঘোরানোর চাবিকাঠি রয়েছে। ভোট কাটাকাটিতে এনডিএ-র সুবিধা করতে পারে ওয়েইসির দল। সেক্ষেত্রে বিপাকে পড়বে তেজস্বীরা।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন