Advertisment

"আমি এসেছি, যোগী আসবেন, বাংলা থেকে ২৩টির বেশি আসন জিতব"

‘‘অমিত শাহ দেশের চাণক্য। উনি বলেছেন লোকসভা ভোটে বাংলায় ২৩টি আসনে জিতব আমরা। এখানে আমি এসেছি, যোগী আদিত্যনাথ আসবেন, আরও অনেকে আসবেন। সংখ্যাটা ২৩ থেকে বাড়বেই।’’

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
biplab kumar deb, বিপ্লব কুমার দেব

ত্রিপুরা ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে বিপ্লব কুমার দেব ও দিলীপ ঘোষ। ছবি: জয়প্রকাশ দাস।

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ২৩টিরও বেশি আসনে পদ্মফুল ফুটবে। পাশাপাশি, সারা দেশে তিনশোরও বেশি আসনে জিতবে বিজেপি। বুধবার এমন দাবিই করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। সল্টলেকের ত্রিপুরা ভবনে এদিন বিপ্লব বলেন, ‘‘২৩টি আসনে জয় পাবই। এর থেকে বেশি সংখ্যক আসনেও জয় পেতে পারি। অমিত শাহ দেশের চাণক্য। উনি বলেছেন লোকসভা ভোটে বাংলায় ২৩টি আসনে জিতব আমরা। এখানে আমি এসেছি, যোগী আদিত্যনাথ আসবেন, আরও অনেকে আসবেন। ফলে, সংখ্যাটা ২৩ থেকেও বাড়বে।’’

Advertisment

আরও পড়ুন, মমতা, মহাভারত ও বিপ্লব কুমার দেব

উল্লেখ্য, রাজ্যে প্রচারে এসে বিরুদ্ধে গতকালই আরামবাগের সভা থেকে তৃণমূল সরকারকে নিশানা করেছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। এদিনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে আক্রমণ করে বিপ্লব বলেন, ‘‘২০১১ সালের আগে সিপিএম যা করেছিল, হার্মাদদের এনে এখন সেই একই কাজ করছে তৃণমূল। আগে ক্যাডাররা ছিল, এখন ক্যাডারদের সঙ্গে যোগ হয়েছে সিন্ডিকেট। গোটা রাজ্যে অশান্তি ছড়ানো হচ্ছে, মারধর করা হচ্ছে। ওদের অন্তিম সময় এসে গিয়েছে, তাই এসব করছে।’’

অন্যদিকে, ত্রিপুরায় ২টি আসনে প্রার্থী দিতে পারে তৃণমূল, এ প্রসঙ্গে বিপ্লবের সরস মন্তব্য, ‘‘আরে, আমি তো ওদের প্রেসিডেন্টেরই নাম জানি না, আপনি কি জানেন? আপনিও বোধহয় জানেন না। যে দলের প্রেসিডেন্টের নামই কেউ জানেন না, তাহলে সে দলের কী হতে পারে ভাবুন। তৃণমূল কিচ্ছু করতে পারবে না।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেড সভা নিয়েও এদিন কটাক্ষ করতে ছাড়েননি 'সদা বিতর্কিত' বিপ্লব। মুকুল রায়ের সুরেই ব্রিগেডের সভায় উপস্থিত হওয়া অবিজেপি নেতাদের ‘রিজেক্টেড নেতা’ হিসাবে আখ্যা দিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন, দেশ লড়ুক মোদীকে জেতাতে, বাংলায় বিজেপি-র লক্ষ্য অন্য: অমিত শাহ

এদিন ত্রিপুরা ভবনের সাংবাদিক বৈঠকে নাগরিকত্ব বিল নিয়ে মুখ খোলেন বিপ্লব। তিনি বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করুন, সেখানে তো সব থেকে বেশি বহিরাগতরা রয়েছেন। সীমান্ত এলাকার কথা যদি বলেন, তবে রাজস্থানও তো রয়েছে। আমরা কিন্তু কমজোর নই। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে দুর্বল ভাববেন না। আমরা দুর্বল নই। আসলে এখানে ৮ রাজ্যে বিজেপি ও বিজেপির সঙ্গীরা সরকারে রয়েছে, তাই অশান্ত করার চেষ্টা চলছে।’’ নাগরিকত্ব বিল নিয়ে বিজেপির সঙ্গে শরিক আইপিএফটি-র মতানৈক্যের খবর ছড়িয়েছে। তবে এ প্রসঙ্গে বিপ্লব সাফ দাবি, আমরা একসঙ্গে মন্ত্রিসভায় রয়েছি এবং আমাদের মধ্যে কোনও সমস্যা নেই।

মমতার থেকে কি বিপ্লব কিছু শিখেছেন? বিপ্লবের জবাব, ‘‘কীভাবে কমিউনিস্টদের হারাতে হয় দেখেছি। ২০১৩ সালে রাজ্যে (ত্রিপুরায়) আমরা যৎসামান্য ভোট পেয়েছিলাম। তারপর সরকারটাই দখল করেছি। আমাদের সঙ্গে অনেক কমিউনিস্টও ছিলেন, তাই ওঁদের খুব সহজেই হঠাতে পেরেছি।’’ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে তুলনা টেনে এদিন বিপ্লব বলেন, ‘‘আমরা সরকারে আসার পর ত্রিপুরায় কোনও রাজনৈতিক খুন হয়নি। আর পঞ্চায়েত নির্বাচনে এ রাজ্যে ৭০ জন খুন হয়েছেন।’’

bjp lok sabha 2019
Advertisment