কয়েক মাস আগেও তিনি ছিলেন তৃণমূলের বাহুবলী নেতা। টিকিট না পেয়ে দল বদলে এখন ব্যারাকপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। মাথায় ঝুলছে মোট ২৪ টি মামলা! দলের অন্দরেও নাকি তাঁকে কেন্দ্র করে অসন্তোষ রয়েছে। তা সত্ত্বেও শিল্পাঞ্চলের কঠিন জমিতে পদ্মফুল ফোটানোর আশা দেখাচ্ছেন অর্জুন সিং। নির্বাচনের প্রাকলগ্নে চোখ রাখুন তাঁর সম্পত্তির হিসেবনিকেশে।
প্রার্থীর নাম - অর্জুন সিং
দল - বিজেপি
কেন্দ্র - ব্যারাকপুর
হাতে নগদ - ১ লক্ষ ৯৪ হাজার ৮৮০ টাকা
ব্যাঙ্কে জমা - ২ কোটি ৬১ হাজার ১২১ টাকা
ঋণ - ২ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা
অলংকার - ৯৩.৫ গ্রাম, মূল্য ৩ লক্ষ ২৫ হাজার ১৮২ টাকা
মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ - ২ কোটি ৮ লক্ষ ৭৬ হাজার ১৯১ টাকা
বাড়ি - জগদ্দলে ১,৭০০ স্কোয়্যার ফুটের ফ্ল্যাট, বর্তমান বাজারদর ৫১ লক্ষ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা - ১৯৮০ সালে উচ্চমাধ্যমিকে উত্তীর্ণ
এদিকে গত ২ মে নাম না করে অর্জুন সিংকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ভাটপাড়ার সভায় প্রাক্তন তৃণমূল নেতার নাম না করে মমতা বলেন, "এ দুনিয়ায় অনেকে রয়েছেন, যাঁদের যেটা প্রাপ্য, তার থেকেও তাঁদের বেশি আকাঙ্খা। এত চাহিদা যে দিতে দিতে আমরা খালি হয়ে যাই। তবুও সন্তুষ্ট করতে পারি না।" এরপরই মমতা বলেন, "আপনাদের এখানকার গদ্দার লোকসভার টিকিট চেয়েছিল, দিই নি। কেন দেব? একজনকে সব দিতে হবে?"
গতমাসের গোড়ার দিকে এক সূত্রের খবর, অর্জুনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই কথাবার্তা চালাচ্ছিল বিজেপি। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের আগে পর্যন্ত পাকা কথা দেন নি তিনি। শিল্পাঞ্চলের এক আইএনটিটিইউসি নেতার কথায়, "অর্জুনভাই আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন টিএমসির টিকিট পাওয়ার। এক পর্যায়ে কিছুটা নিশ্চিতও হয়েছিলেন। জগদ্দলের শ্রমিক ভবনের এক সভায় অনুগামীদের আশ্বস্তও করেছিলেন। তারপর ছবিটা আচমকাই বদলে গেল।" তিনি বলেন, "অর্জুন বিজেপিতে যাওয়ায় এই কেন্দ্রে আমরা কড়া লড়াইয়ের মুখে পড়ব ঠিকই, কিন্তু বিজেপি’র অন্দরেও প্রবল অন্তর্দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। বহু পুরনো বিজেপি কর্মী অর্জুনের হয়ে কাজ করতে রাজি নন।"