উত্তর থেকে দক্ষিণ, প্রচারে ২০০ আসন জেতানোর জন্য ভোটারদের কাছে আবেদন করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ২০০ আসন না জিতলে দলের 'গদ্দার'রা বিজেপির দেওয়া টাকার লোভে দলত্যাগ করতে পারেন বলে এদিন কোচবিহারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
এদিন কোচবিহারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমি একা জিতে তো লাভ নেই। আমার ভোট হয়ে গিয়েছে। আমি জিতবই। আমি যেখানে দাঁড়াই জিতবই। আমি এখানে দাঁড়ালেও আপনারা আমাকে ভোট দিতেন। আমি একা জিতে তো সরকার গঠন করতে পারব না। আমাদের ২০০ আসন পার করতে হবে।' এরপরই আশঙ্কার কথা তুলে ধরে বিজেপিকে তুলোধনা করেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর কথায়, '২০০ আসন না পেলেই মনে রাখবেন বিজেপি টাকা খাইয়েকিছু গদ্দারকে কিনে নিতে পারে।'
উদ্বাস্তু অধ্যুষিত কোচবিহারে গিয়ে এদিন কেন্দ্রের এনআরসি-সিএএ-এনপিআর-এর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও সরব হন মমতা। বলেন, 'আমি এনপিআর, এনআরসি করতে দেব না। বাংলার সব মানুষ ভারতের নাগরিক। দ্বাস্তু ভাই বোনেরা চিন্তা করবেন না। সব উদ্বাস্তু কলোনিকে স্বীকৃতি দিয়েছি। আপনাদের কেউ উচ্ছেদ করতে পারবে না।'
রাজ্য সরকার গত ১০ বছরে বাংলাজুড়ে উন্নয়নের নানা কাজ করেছে। এদিন তারই খতিয়ান পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, 'আমরা জিতলে তফশিলি জাতি, উপজাতি সম্প্রদায়ের মায়েরা ১ হাজার টাকা করে হাতখরচ পাবেন। অন্য ক্যাটাগরির যাঁরা আছেন তাঁরাও ৫০০ টাকা পাবেন। বিনা পয়সায় খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা, পানীয় জল, কাজ পাবেন। ১০০ দিনের কাজ দুশো দিনের হতে পারে। সরকারি, বেসরকারি ক্ষেত্রে ৫ লক্ষ ছেলেমেয়ের চাকরি হবে।'
গত তিন দফা ভোটে এজেন্টদের মারধরের অভিযোগও সামনে এসেছে। এবার সাহসী এজেন্টদের পুরষ্কৃত করার ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় বাহিনী অশান্তি করার চেষ্টা করেলে, তাদের ঘেরাও করার পরামর্শ দিলেন তিনি।
কর্মসংস্থানের নিরিখে দেশের পরিসংখ্যানের সঙ্গে রাজ্যের হারের তুলনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, 'সারা ভারতে ২ কোটি বেকার বেড়েছে। আমাদের বাংলায় ৪০ শতাংশ বেকারি কমেছে। দারিদ্র কমেছে।'
বক্তব্যের শেষে নিজেকে সকলের 'পাহারাদার' দাবি করেন মমতা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন