বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর আজ, শনিবার, এক পথ দুর্ঘটনায় জখম হয়েছেন। জানা গিয়েছে, ওই দুর্ঘটনায় তাঁর মাথা ফেটেছে। পুলিশের স্টিকার সাঁটা একটি গাড়ির সঙ্গে তাঁর গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটেছে। শান্তনু ঠাকুরকে বনগাঁ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে এই ঘটনার জেরে বেশ কিছু জায়গায় পথ অবরোধ করেছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
জানা গিয়েছে, গাইঘাটা থেকে জলেশ্বরের দিকে যেতে ডানদিকে হাঁসপুর বাজারের কাছে দুর্ঘটনা ঘটে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে তিনি কল্যাণী যাচ্ছিলেন। পথে হাঁসপুরে একটি পুলিশ স্টিকার সাঁটা স্কর্পিও গাড়ির সঙ্গে বনগাঁর বিজেপি প্রার্থীর গাড়ির সামনা-সামনি ধাক্কা লাগে। প্রয়াত বীণাপাণি দেবীর নাতি শান্তনু ঠাকুর জখম হন এবং তাঁর মাথা ফেটে যায়। ওই গাড়িতে আরও কয়েকজন ছিলেন। প্রার্থীর গাড়িতে থাকা একজন চিকিৎসকের হাত ভেঙে যায়। অন্য একজনের দাঁত ভেঙে গিয়েছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনার পর বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা কিছু জায়গায় পথ অবরোধ করেন। বাটার মোড় ও চাকদা রোডে এই অবরোধ চলে। বনগাঁ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শান্তনু ঠাকুর সহ জখমদের চিকিৎসা চলছে। বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে লড়াই চলছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তথা তাঁর জ্যেঠিমা মমতাবালা ঠাকুরের। ৬ মে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন। এই দুর্ঘটনায় চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছে রাজ্য বিজেপি।
বিজেপির রাজ্য় সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারের অভিযোগ, "আমাদের বনগাঁর প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরকে খুনের উদ্দেশ্য়ে এটা ঘটানো হয়ে থাকতে পারে। দুর্ঘটনায় চক্রান্তের গন্ধ রয়েছে।" তিনি আরও বলেন, "গাইঘাটা যাওয়ার রাস্তায় তাঁর গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়েছে। তিনি গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। কিন্তু এই দুর্ঘটনাকে নিছক দুর্ঘটনা বলে আমরা মনে করছি না। এই দুর্ঘটনার পিছনে চক্রান্তের কালো হাত দেখছি। যে ভাবে একটি সরকারি গাড়িতে একজন ড্রাইভার ছাড়া আর কেউ ছিল না। যেন গাড়িটি অপেক্ষা করছিল। ইচ্ছা করে শান্তনুবাবুর গাড়িকে সরাসরি সামনে থেকে ধাক্কা মারে। হয়তো তাঁর জীবননাশের জন্য়ই এই ঘটনা ঘটানো হয়ে থাকতে পারে।"