লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে রণংদেহী মোদী। কয়েকদিন আগেই রাহুল গান্ধীর ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’-এর জবাব দিয়েছিলেন মোদী। এবার বিজেপি-র জাতীয় কনভেনশনের মঞ্চ থেকেও সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে নমো বলেন, ‘‘চৌকিদারকে থামানো যাবে না, এই তো সবে শুরু, কাউকে ছাড়ব না।’’ এদিন অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড মামলার প্রসঙ্গ টেনে গান্ধী পরিবারকে কটাক্ষ করেছেন মোদী। তিনি বলেছেন, মধ্যস্থতাকারীকে নিয়ে তদন্ত চালানো হচ্ছে। তাঁর দাবি, ‘মধ্যস্থতাকারী’-কে নিয়ে তদন্ত চালানো হচ্ছে বলেই কংগ্রেসের স্নায়ুর চাপ বাড়ছে।
কংগ্রেসকে নিশানা করে শনিবার মোদী বলেন, ‘‘যদি বলি দুর্নীতির ঠেলায় গত ১০টা বছর(২০০৪-২০১৪) হারিয়েছে এ দেশ, তাহলে ভুল বলা হবে না।’’ প্রধানমন্ত্রীর আরও দাবি, ‘‘আগের সরকার অন্নদাতা (কৃষকদের) মতদাতা হিসেবে দেখেছে। ২০২২ সালের মধ্যে আমরা কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার জন্য দিন-রাত কাজ করছি।’’
PM: Bank gave loans of Rs 18 lakh cr in 60 yrs & Rs 34 lakh cr in last 6 yrs of Congress governance. There were two means of taking loans in the country. One common process & the other Congress process. In the Congress process, banks were forced to give loans to fraudster friends pic.twitter.com/sM1TdFAhHr
— ANI (@ANI) January 12, 2019
আরও পড়ুন, ‘‘লোকসভা ভোট পানিপথের যুদ্ধের মতো, হারলেই দাসত্ব ভোগ করতে হবে’’
অন্যদিকে, অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তিসগড়ের সিবিআই-কে রোখার বিষয়ে মুখ খুলেছেন মোদী। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তিসগড়ে সিবিআই-এর প্রবেশ রোখা হয়েছে। কী এমন করেছে ওরা, যে এত ভয় পাচ্ছে? আজ ওরা সিবিআইকে মানছে না, কাল অন্য কোনও প্রতিষ্ঠানকে মানবে না। সেনা, পুলিশ, সুপ্রিম কোর্ট, নির্বাচন কমিশন, ক্যাগ সবাই ভুল, শুধু ওরাই ঠিক। ২০০৭ সালে কংগ্রেসের এক মন্ত্রী বলেছিলেন, মোদী কয়েক মাসের মধ্যেই জেলে যাবেন...কিন্তু আমরা কোনও আইন প্রণয়ন করে গুজরাতে সিবিআই-কে রুখিনি। কারণ আইনের প্রতি আমাদের আস্থা ছিল। ওঁরা তদন্তসংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন, কারণ ওঁরা ভয় পাচ্ছেন।’’
রাম মন্দির ইস্যুতেও কংগ্রেসকে একহাত নিয়ে মোদী বলেছেন, ‘‘এটা ভুলে গেলে চলবে না, সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা মামলাকে কীভাবে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে কংগ্রেস।’’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘‘৬০ বছরে ১৮ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিল ব্যাঙ্ক। গত ৬ বছরে কংগ্রেস আমলেই ৩৪ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছিল। দেশে দু’ভাবে ঋণ নেওয়া হয়, একটা কমন প্রসেস, অন্যটি কংগ্রেস প্রসেস। কংগ্রেস প্রসেসে প্রতারক বন্ধুদের ঋণ দেওয়ার জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে জোর করা হত।’’
Read the full story in English