প্রধানমন্ত্রীর সভায় ভিড় জমাতে টাকা বিলি করছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির বিরুদ্ধে এমনই ভয়ঙ্কর অভিযোগ আনলো তৃণমূল। বাংলার রাজনীতিতে যা অত্যন্ত বিরল। বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দিলে, মোদির সভায় গেলে মাথাপিছু ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে কুপন বিলি করছে পদ্ম বাহিনী। তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে এই অভিযোগ তুলেছেন দলের সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। বিষয়টি খতিয়ে দখতে কমিশনের হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে।
তৃণমূল সাংসদ শুখেন্দুশেখর রায় বুধবার তোপসিয়ার দলীয় দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, "বহু বিজেপি নেতার সভাই ফাঁকা। খোদ অমিত শাহকেও হেলিকপ্টার বিভ্রাটের দোহাই দিয়ে পিছিয়ে আসতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সভার ক্ষেত্রে যাতে এইটা না ঘটে সেই কারণেই এই টাকা বিলি করা হচ্ছে। এই ধরনের ক্যাশ ফর ভোট, পশ্চিমবাংলার রাজনীতিতে কখনও ঘটেনি।" তৃণমূল চাইছে অবিলম্বে এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশন এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক।
আরও পড়ুন- ‘তৃণমূলের ২০০ না হলেই টাকা খাইয়ে গদ্দারদের কিনবে বিজেপি’, আশঙ্কা মমতার
কীভাবে সেই টাকা ভোটারদের কাছে পৌঁছচ্ছে তাও এদিন স্পষ্ট করে দেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। সুখেন্দু শেখর রায়ের কথায়, 'এখানে ভোটারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কুপন বিলি করা হয়েছে। ১ হাজারের অঙ্ক উল্লেখ করা হয়েছে। বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দিলে এবং মোদির সভায় গেলে ১ হাজার টাকা পাওয়া যাবে।'
তৃণমূলের বক্তব্য বিজেপির তরফে বিলি করা কুপনে নরেন্দ্র মোদীর ছবি রয়েছে, জনসভার কথা উল্লেখও করা রয়েছে। ১লাএপ্রিল থেকে এই কুপন বিলি চলছে। তৃণমূল এই বিষয়ে কমিশনে লিখিত অভিযোগ জানাতে পারে বলে জানিয়েছেন সুখেন্দু শেখরবাবু।
টুইট করে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগের সমর্থনে বিলি করা কুপনের ছবিও তুলে ধরেছেন তৃণমূল সাংসদ কাকলী ঘোষদস্তিদার।
বিজেপি ভোটের আগে বাড়ি বাড়ি টাকা বিলি করছে। প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহুদিন ধরেই এই অভিযোগ করছেন। তবে, কোথায়, কখন, কী ভাবে এই টাকা বিলি হচ্ছে তা এতদিন স্পষ্ট করেননি তিনি। তিনটি দফাভোটের পর অবশেষে তা স্পষ্ট করারর চেষ্টা করল ঘাস-ফুল বাবহিনী।
তৃণমূলের ওই অভিযোগকে পাত্তা দিতে নারাজ বিজেপি। দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, 'বিজেপির যেকোনও জনসভায় ভিড় স্বতস্ফূর্ত। দলের এত করণ অবস্থা নয় যে টাকা দিকে জনসভায় ভিড় বাড়াবে বিজেপি। মমতাদেবী প্রমাণ ছাড়া কথা বলছেন। তাই এই অভিযোগকে পাত্তা দেওয়ার কিছু নেই। '
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন