বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে প্রচারাভিযানে আগামী ২৩ অক্টোবর থেকে নামছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিহারে ১২টি সভা করবেন মোদী। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন বিহারে বিজেপির নির্বাচনী পর্যবেক্ষক তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিস। ২৩ অক্টোবর সাসারাম, গয়া এবং ভাগলপুরে সভা করবেন মোদী। ২৮ অক্টোবর দ্বারভাঙা, মুজফ্ফরপুর এবং পাটনায় সভা করবেন তিনি। এদিকে, চিরাগ পাসওয়ান এবং তাঁর দল এলজেপিকে নিয়ে চরম অস্বস্তিতে এনডিএ শিবির। শুক্রবার কড়া ভাষায় চিরাগকে আক্রমণ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।
শুক্রবার জাভড়েকর বলেছেন, "বিজেপির সঙ্গে এলজেপির কোনও যোগ নেই এবারের বিহার নির্বাচনে। এনডিএ জোট এবার বিহারে তিন-চতুর্থাংশ ভোট পেয়ে ক্ষমতায় ফিরবে। চিরাগ পাসওয়ান বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।" অপপ্রচারে কোনও লাভ হবে না চিরাগের, তোপ জাভড়েকরের। সম্প্রতি দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বিস্তারিত সাক্ষাৎকারে চিরাগ বলেছিলেন, "বিজেপির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই করবে এলজেপি। যদি বিজেপি জেতে তাহলে আমরা স্বাগত জানাব। যদি আমরা জিতি তাহলে বিজেপিকে সমর্থন করব। আমি বিজেপি-এলজেপি সরকার দেখতে চাই বিহারে।" এই কথার পাল্টা জাভড়েকর বলেছেন, এলজেপি শুধু ভোট কাটার জন্য নির্বাচনে লড়ছে।
আরও পড়ুন লালুর দল ক্ষমতায় ফিরলে কাশ্মীরের জঙ্গিরা বিহারে আশ্রয় নেবে: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
অন্যদিকে, শুক্রবার প্রচারে ঝড় তুলে মোদী সরকারের উন্নয়নমূলক কাজকর্ম জনতার কাছে তুলে ধরেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। বলেছেন, "২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে রাজনেতারা শুধু একে অপরকে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি, দোষারোপে ব্যস্ত থাকতেন। জাত-পাত-ধর্মের রাজনীতি করতেন। নিজেদের বক্তব্যে ঘৃণা ছড়াতেন। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর রাজনৈতিক সংস্কৃতি পাল্টেছে ভারতে। এখন নেতাদের তাঁদের রিপোর্ট কার্ড দেখাতে হয় ভোট চাইতে গেলে।" মোদীর বিকাশ কর্মকাণ্ড নিয়ে বলতে গিয়ে নাড্ডার দাবি, "আমি বিহারের জনগণকে বলতে চাই যে মোদী কেবল ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজই দেননি, পাশাপাশি ৪০ লাখ কোটি টাকার অতিরিক্ত সহায়তাও দিয়েছেন। জনগণকে এই বিস্তৃত রাস্তা তৈরি এবং শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে যে প্রচেষ্টা চালিয়েছে সে সম্পর্কে অবশ্যই জানতে হবে।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন