উত্তেজনা তীব্র হয় দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ। ধর্মতলা এলাকায় একদল পুলিশকর্মী বিজেপি-র ফ্লেক্স খুলতে শুরু করলে গেরুয়া শিবিরের কয়েকশো কর্মী তাঁদের ঘিরে ধরেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বিজেপি-র সর্বভারতীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও রাহুল সিনহা। কৈলাস বলেন, পুলিশ ও তৃণমূল একজোট হযে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে চাইছে। রাহুল অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন ফ্লেক্স খোলার নির্দেশ দেয় নি। রাজ্য পুলিশ তৃণমূলের তাঁবেদারি করছে। তাঁর কথায়, “ওরা আমাদের ভয় দেখানোর ব্য়র্থ চেষ্টা করছে।”
আরও পড়ুন: “মোদী মোদী” স্লোগান তোলা বিজেপি সমর্থকদের সঙ্গে হাত মেলালেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
এর আগে প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়, শহিদ মিনারের বদলে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেল থেকে শুরু করতে হবে এই মিছিল। মিছিলে অংশগ্রহণ করতে শহিদ মঞ্চে এসে পড়েন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সংবাদমাধ্যমকে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় জানান, “মমতাজির কথাতেই পুলিশ এই সভা আটকানোর চেষ্টা করছে। আমাদের কাছে এই মিছিল করার সব রকমের ছাড়পত্র রয়েছে।”
প্রসঙ্গত, সোমবার বারুইপুরে প্রশাসনের অনুমতি না মেলায় বাতিল হয়ে যায় অমিত শাহর সভা। যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরার সমর্থনে বারুইপুরে সভা করার কথা ছিল বিজেপি সভাপতির। “মমতা সরকার অনুমতি দেয় নি, এজন্যই সভা বাতিল করা হয়েছে” বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। এ প্রসঙ্গে মমতাকে নিশানা করে বিজেপির তরফে বলা হয়, “বাংলার মানুষ আগামী ২৩ মে মমতাদিদিকে যোগ্য জবাব দেবেন।” সেখানেই থেমে থাকেননি অমিত শাহ, জয়নগরের সভায় বিজেপির সভাপতি বলেন, “আমার তিনটে সভা ছিল আজ, একটা সভা বাতিল হয়েছে। মমতাদির ভাইপো হারছেন, তাই ভয় পেয়ে আমার সভা বাতিল করেছেন।” এদিন রাজারহাটের সভা থেকে মমতাকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে বলেন, “কেন্দ্র সরকার টাকা পাঠালেও তা আপনাদের কাছে পৌঁছচ্ছে না কারণ দিদির ভাইপোরাই সব খেয়ে নিচ্ছেন।”