বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের কাছে 'ঘৃণাত্মক বক্তব্য'র অভিযোগ। নির্বাচন ঘোষণার পরই বিজেপি সহ প্রায় সব রাজনৈতিক দল তাদের নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিয়েছে। এরই মাঝে বিরাট বিপাকে পড়েছেন বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য। তাঁর বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক বক্তৃতা এবং নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি বিজেপি সাংসদ পিসি মোহন এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শোভা করন্দলাজের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হয়।
বেঙ্গালুরু দক্ষিণের সাংসদ তেজস্বী সূর্যের বিরুদ্ধে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত করা এবং বেআইনি সমাবেশের অভিযোগ আনা হয়েছে। বুধবার ২০ মার্চ নির্বাচন কমিশন ও কর্ণাটক পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করে। দায়ের করা অভিযোগ ইতিমধ্যেই জেলা নির্বাচন অফিসার এবং মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে পাঠানো হয়েছে।
বেঙ্গালুরুতে একটি দোকানের মালিকের উপর হামলার পরে তেজশ্বীর মন্তব্য এবং সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের উল্লেখ করে অভিযোগে বলা হয়েছে, "এটা স্পষ্ট যে তিনি হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি নির্বাচনের আগে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করারও চেষ্টা করছেন"।
উল্লেখ্য, ১৮ মার্চ, দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর সাংসদ এক্সে (পূর্বে টুইটার নামে পরিচিত) এক পোস্টে তুষ্টির রাজনীতির জন্য কংগ্রেসকে নিশানা করেন তিনি দাবি করেছেন যে 'জিহাদিদের' রাজনৈতিক সমর্থন পাওয়ায় কর্ণাটকে হিন্দুদের বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনা বেড়েছে।
রবিবার, ১৭ মার্চ আজানের সময় (মুসলিম প্রার্থনা) হনুমান চালিসা বাজানোর অভিযোগে বেঙ্গালুরুর নাগারথপেটে এলাকায় একটি দোকানের মালিকের উপর হামলার ঘটনা ঘটে ১৮ মার্চ সোমবার দায়ের করা একটি এফআইআর অনুসারে হামলার কারণ কোনও ধর্মীয় উদ্দেশ্য বলে উল্লেখ ছিল না। দোকান মালিকের ওপর হামলার ঘটনায় পাঁচ অভিযুক্তের সবাইকে গ্রেফতারও করা হয়।
নির্বাচন কমিশন এবং কর্ণাটক পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে বিজেপি সাংসদকে দুর্নীতিমূলক আচরণ, আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত করা এবং বেআইনি সমাবেশ সহ বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনা হয়।
সূর্যের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC) ১৫৩-এ, ২৯৫-এর অধীনে মামলা করা হয়েছে। পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ধারা ১২৩ (৩এ) ধারাতেও মামলা দায়ের করা হয়েছে।