কংগ্রেসিদের বোঝা উচিত 'মোদী এই হুমকিতে ভয় পান না'। নির্বাচনী প্রচারে এভাবেই বিরোধীদের আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ছত্তিশগড়ে কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন, মোদী গরীবের ছেলে, মাথা উঁচু করে চলে।
লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে উঠেছে । একের পর নির্বাচনী জন সভায় কংগ্রেসকে কড়া নিশানা করেছেন মোদী। পাশাপাশি দুর্নীতি ইস্যুতে বিরোধী জোটকেও নিশানা করে মোদী বলেছেন, কংগ্রেস সরকারে প্রচুর দুর্নীতি হয়েছে। ২০১৪ সালের আগে, লক্ষ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়েছিল।
সেই সঙ্গে মোদীর এবারের নির্বাচনে প্রচারে অযোধ্যার রাম মন্দির, কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিল, তিন তালাক বাতিলের মত একাধিক বিষয় উঠে এসেছে। একই সঙ্গে কংগ্রেসের তৈরি নির্বাচনী ইস্তেহারে মুসলিম লীগের ছাপ রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন মোদী।
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর কংগ্রেস সরকার উন্নয়নকে প্রাধান্য দেয় নি। গরীবদের উপেক্ষা করা হয়েছে। মোদী দাবি করেন, বিজেপি সরকারের কারণেই আজ ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমা থেকে বেরিয়ে এসেছে।
করোনার সময়কালের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধনীদের কংগ্রেস সরকারে দেশে রোগের ভ্যাকসিন পেতে অনেক সময় লাগত, কিন্তু বিজেপি সরকারে গরিবদের জন্য বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিয়েছে । বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে। আদিবাসী সমাজের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে আদিবাসী সমাজ সবসময়ই বিজেপির অগ্রাধিকার। যে কংগ্রেস আদিবাসীদের তুচ্ছ করেছিল। আজ একই সমাজের মেয়ে দেশের রাষ্ট্রপতি। গত ১০ বছরে উপজাতি কল্যাণের বাজেট বেড়েছে ৫ গুণ।
তার নির্বাচনী বক্তৃতায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এও পুনরাবৃত্তি করছেন যে গত ১০ বছরে তাঁর সরকার যে কাজ করেছে তা ছিল স্রেফ করা একটি ট্রেলার"। মোদী জোর দিয়ে বলেছেন, দেশের উন্নয়নের জন্য তাঁর আরও অনেক কিছু করার আছে। মোদী তার "প্রথম ১০০ দিনের" এজেন্ডা নিয়েও একটি বৈঠক করছেন। বিজেপি আশাবাদী আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি একাই ৩৭০ আসন পাবে। যেখানে এনডিএর ৪০০-এর বেশি আসন পার করবে।
দল তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফেরার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। ভারতকে " বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে " পরিণত করার দিকে নিয়ে গেছেন বলে নির্বাচনী ভাষণে বারে বারে উল্লেখ করেছেন মোদী।
বিজেপি নেতাদের একটি বড় অংশ বলছেন, যে তিনি যদি তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন, মোদীর চোখ থাকবে জওহরলাল নেহরুর রাজত্বের দিকে। যিনি সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় ছিলেন। পাশাপাশি 'ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন', একইভাবে, ইউনিফর্ম সিভিল কোডে বাস্তবায়নও থাকবে বিজেপির এজেন্ডায়। বিজেপি নেতারা বলছেন, মোদী ক্ষমতায় ফিরলে আরেকটি হর ঘর জল মিশন।
মোদীর বিরোধিতাকারীরা বলে আসছেন যে বিজেপি বড় সংখ্যাগরিষ্ঠতা চাওয়ার কারণ হল যে তারা দেশের সংবিধান" পরিবর্তন করতে চায়। যদিও, দলের সিনিয়র নেতারা এই কথা সরাসরি অস্বীকার করে বলেছেন, বিজেপি বা মোদীর এই পথে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই।