বঙ্গ বিজেপি আজ, রবিবার নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করতে চলেছে। রাজ্যে শিল্পায়নের পাশাপাশি কৃষি, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও বিশেষ নজর দেওয়ার কথা থাকতে চলেছে এই ইস্তেহারে। চাকরির ক্ষেত্রেও বিশেষ পদক্ষেপ করবে বিজেপি।
কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি বিল নিয়ে দিল্লিতে চার মাসের বেশি সময় ধরে আন্দোলন চলেছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে এসেছে। এরাজ্যের নির্বাচনী ইস্তেহারে কৃষিক্ষেত্রে একাধিক সুযোগ-সুবিধার কথা ঘোষণা করতে চলেছে বিজেপি। কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষকের আয় দ্বিগুন বৃদ্ধি, কৃষির আধুনিকীকরণ, কৃষিজাত পণ্যের প্রক্রিয়াকরণ ও কৃষকের বিপনণ পদ্ধতির আমূল সংস্কার সাধন করার কথা বলা হতে পারে ইস্তেহারে। রাজ্যের সমস্ত কৃষকদের এবং বর্গাদারদের প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান নিধি প্রকল্পের আওতায় আনা। ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত কৃষিঋন মকুব করার কথাও ঘোষণা করার কথা এই ইস্তেহারে। মৎস্যচাষ তথা প্রানীপালনের ক্ষেত্রেও অনুরূপ সুবিধা প্রদান করা হবে।
স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও একাধিক ঘোষণা করা হতে পারে এই ইস্তেহারে। রাজ্যের সমস্ত মানুষকে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। পিছিয়ে পড়া ব্লকগুলিতে মোবাইল ক্লিনিক এবং মোবাইল ল্যাবরেটারি চালু করা। কল্যাণীতে এইমস নির্মাণ করে এক বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ রূপে চালু করা। বিনামুল্যে করোনা টিকাকরণ। রাজ্যে মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন ও আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা। রাজ্যের সমস্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগে বিশেষ উদ্যোগ। বেসরকারি ক্ষেত্রে চিকিৎসা ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- SEZ থেকে শিল্প মানচিত্র, ইস্তেহারে বাংলায় শিল্পায়নে বিশেষ নজর BJP-র
বেকারত্ব দূরীকরণে স্কুল সার্ভিস কমিশন, কলেজ সার্ভিস কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশনসহ সমস্ত নিয়োগ পরিকাঠামো চালু করা হবে। বিশেষ জোর দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে স্কুল সার্ভিস কমিশনে। স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ হবে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের রিজিওনাল অফিসগুলি ফের চালু করার কথা বলা হচ্ছে। ডাব্লু বিসিএস পরীক্ষার মেইন পরীক্ষা বিভিন্ন রিজিওনাল সেন্টারগুলোতেও করানো যায় তার চেষ্টা করা হবে।
বিজেপি ক্ষমতায় এলে মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক পদক্ষেপ করার ওপর জোর দেবে। কোনও ধরনের পুজো-পার্বনে বাধা সৃষ্টিকারিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করার আইন প্রনয়ন করা হবে। রাজ্যব্যাপী সমস্ত জেহাদী সাম্প্রদায়িক আক্রমণের ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিশন গঠন করে দোষীদের কঠোরতম শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা করার কথাও থাকতে পারে ইস্তেহারে। ক্ষতিগ্রস্ত, আহত ও নিহত ব্যক্তিদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে। বিজেপি আগেই বলেছিল রাজনৈতিক মিথ্যা মামলাা প্রত্যাহার করা হবে। তাও স্থান পেতে চলেছে তাদের ইস্তেহারে। সিন্ডিকেট ব্যবস্থা অবৈধ ঘোষণা, বালি, কয়লা, মোরাম, পাথর খাদানগুলোর প্রতি বিশেষ নজরদারি চালানোর উল্লেখ থাকতে চলেছে ইস্তেহারে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন