মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি জয়ী হলে মেদিনীপুরবাসীর 'ডাবল' ফায়দা। একটায় একটা 'ফ্রি'। বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী দিলীপ ঘোষ বলেন, "আমি জয় পেলে দুজন সাংসদ পাবেন মেদিনীপুরের মানুষ।" কিভাবে তা সম্ভব হচ্ছে, মিট দ্য প্রেসে তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।
মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে দিলীপ ঘোষের বিপরীতে তৃণমূল প্রার্থী রয়েছেন দুঁদে রাজনীতিক মানস ভুঁইয়া। লড়াইও বেশ জমে উঠেছে। কতটা জমেছে মেদিনীপুরের লড়াই? প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে দিলীপবাবু বলেন, "মেদিনীপুরের মানুষ বিজেপিকে জয়ী করলে দুজন সাংসদ পাবেন। আমি সাংসদ হয়ে লোকসভায় যাব। মানসবাবু তো রাজ্যসভায় আছেনই। এর ফলে একদিকে আমার সাংসদ উন্নয়নের টাকা এখানে খরচ করতে পারব। আর উনি তো বাংলার যে কোন জায়গায় উন্নয়ন খাতে টাকা খরচ করতে পারবেন। কাজেই তিনিও মেদিনীপুরে উন্নয়নে বরাদ্দ করতে পারবেন।"
তিনি বলেন, "মানসবাবু জিতলে বাঁ পকেটের টাকা ডান পকেটে যাবে। পঞ্চায়েত ভোটে বুথে ওঁর এলাকায় বিজেপি জিতেছে। আমার এলাকার বুথে জয় পেয়েছে বিজেপি। এতদিন তিনি ম্যাজিক দেখিয়েছেন। এবার তিনি ম্যাজিক দেখবেন। আমি কখনও আগে হারি নি। গতবারও জিতেছি। অল্পদিন হয়েছে রাজনীতিতে এসেছি। আমার কাছে হারের রেকর্ড নেই। ওঁর হারবার রেকর্ড আছে।"
নরেন্দ্র মোদীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুর্তা ও মিষ্টি পাঠানো বিতর্ক নিয়েও মুখ খুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী ঠিক কাজ করেছেন। আমি যখন অসুস্থ হয়েছিলাম, তিনি খোঁজ নিয়েছেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীও আবার অভিভাবকও। এটাতে কোনও আপত্তি নেই। রাজনীতিতে হিংসা দলাদলি না হওয়াই ভাল।"
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দলের রাজ্য শাখার সামনে ২৩টি লোকসভা আসনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে। এদিনও দিলীপ ঘোষ জোর দিয়ে বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে ২৩-এর বেশি আসন পাবে বিজেপি। আমাদের সর্বভারতীয় সভাপতি সেই টার্গেট দিয়েছেন। যে দশটি আসনে নির্বাচন হয়েছে সেখানে ৭-৮টি আসন আমরা পাব। জঙ্গলমহলও আমাদের ঢেলে দেবে।"
বাংলার রাজনীতি কুকথায় বিতর্কিত নাম দিলীপ ঘোষ। কেন বলেন এসব ভাষা? দিলীপের জবাব, "আসলে যিনি যে ভাষা বোঝেন, সেই ভাষা বলার চেষ্টা করি।" রাজনীতিতে আসার আগে এধরনের কথা বলতেন না বলেও তিনি দাবি করেন। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে নিয়েও এদিন তির্যক মন্তব্য করেন দিলীপ। তিনি বলেন, "অমর্ত্যবাবু কী বললেন তাতে দেশের কিছু যায় আসে না। ওঁরা সমস্যার সমাধান না করে পালিয়ে যান। তাঁর ভাষনে কিছু যায় আসে না।"