ক্ষমতায় এলে নীল-সাদা বাড়ি নবান্ন নয়, ঐতিহ্যের মহকরণ থেকেই রাজ্যপাট চালাবে বিজেপি। এমনটাই ঘোষণা করলেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। নবান্নের বদলে রাইটার্স বিল্ডিংয়ে রাজ্যের সচিবালয় সরানোর কথা জানিয়েছেন তিনি। বর্তমানে রাইটার্স সংস্কারের কাজ চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি নবান্নের বদলে মহাকরণ বেশি পছন্দের গেরুয়া শিবিরের।
ব্রিটিশ স্থাপত্যের অনন্য নজির এই রাইটার্স বিল্ডিং। বিপ্লবী বিনয়-বাদল-দীনেশের অভিযানের কথা বাঙালি কোনওদিন ভুলবে না। সেই আবেগকে ছোঁয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। মঙ্গলবার শমীক বলেছেন, "রাইটার্স বিল্ডিংকে ঘিরে মানুষের আবেগ জড়িয়ে আছে। এই ভবনের ঐতিহ্য বহুদিনের। বিবাদী বাগের ওই ভবন থেকেই বাংলায় শাসনব্যবস্থা ঐতিহাসিক ভাবে চলে আসছে। তাই বিজেপি ক্ষমতায় এলে মহাকরণে ফিরবে সচিবালয়।"
প্রসঙ্গত, বাংলায় স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিল এই ঐতিহাসিক লালবাড়ি। একসময় বহু আন্দোলনের সাক্ষী থেকেছে রাইটার্স। বিনয়-বাদল-দীনেশের বিপ্লবী আন্দোলন থেকে মমতার একুশে জুলাইয়ের অভিযান। এই লালবাড়ি থেকেই বাংলায় ৩৪ বছর শাসন করেছে বামফ্রন্ট। তারপর ক্ষমতায় এসে কয়েক বছরের মধ্যে হুগলি নদীর ওপারে হাওড়ায় নীল-সাদা নবান্ন তৈরি করে সচিবালয় স্থানান্তর করেন মমতা।
বিজেপির দাবি, ১৪ তলার নীল-সাদা বাড়ি থেকে স্বৈরাচারী শাসন চালান মুখ্যমন্ত্রী। তাই সেখান থেকে সচিবালয় রাইটার্সে সরিয়ে রাজ্যে ফের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবে তারা। দীর্ঘকাল ধরে সংস্কার চলছে রাইটার্স বিল্ডিংয়ের। সংস্কার শেষ হলেই মহাকরণে সচিবালয় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু আট বছর অতিক্রান্ত, মহাকরণে ফেরেনি সচিবালয়। তাই নীল-সাদা নবান্ন নয়, লাল মহাকরণ থেকেই রাজ্যে সুশাসন প্রতিষ্ঠার কথা বলেছে বিজেপি।