General Election 2019: জলপাইগুড়িতে 'ডামি প্রার্থী' দিল বিজেপি! লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গ বিজেপিতে প্রার্থী অসন্তোষে নয়া মোড়। জলপাইগুড়ির বিজেপি প্রার্থী হিসেবে জয়ন্ত রায়ের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছেন জয়ন্ত। মঙ্গলবার সেই কেন্দ্রেই পদ্ম শিবিরের প্রার্থী হিসেবে জেলাশাসকের দফতরে মনোনয়নপত্র পেশ করলেন দীপেন প্রামাণিক নামের আরেক ব্যক্তি। এ ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। একই কেন্দ্রে বিজেপির দুই প্রার্থী কীভাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন, তা নিয়ে জোর চর্চা রাজ্য রাজনীতিতে। উল্লেখ্য, একই কেন্দ্রে একই দলের দুই প্রার্থী মনোনয়নপত্র পেশ করলে, একজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়।
লোকসভা ভোটের আরও খবর পড়ুন, এখানে
মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র দাখিল করতে এসে দীপেন প্রামাণিক সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘বিজেপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জেলাশাসকের দফতরে মনোনয়নপত্র পেশ করেছি। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশেই মনোনয়নপত্র পেশ করেছি।’’ একই কেন্দ্রে দু’জন বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র পেশ কেন? জবাবে দীপেন দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশ বলেই দায় সেরেছেন। তিনি বলেন, ‘‘এ বিষয়ে যা বলার মুকুল দা বলবেন। আমায় যতটুকু কাজ দেওয়া হয়েছে, ততটুকুই করলাম।’’
জলপাইগুড়িতে বিজেপির 'ডামি প্রার্থী' দীপেন প্রামাণিক কী বললেন?#Elections2019 pic.twitter.com/l6z7WPIh1P
— IE Bangla (@ieBangla) March 26, 2019
আরও পড়ুন, Lok Sabha Election 2019: বাংলার ২৮ আসনে বিজেপি প্রার্থী কারা? জেনে নিন একনজরে
এ প্রসঙ্গে মুকুল রায়কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘‘সব দলই ডামি প্রার্থী রাখে। যদি কোনও কারণে কারও প্রার্থীপদ বাতিল হয়, তাহলে সেই প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।’’ ক’জন ডামি প্রার্থী দিচ্ছে বিজেপি? এ প্রশ্নের জবাবে আবার মুকুল বলেন, ‘‘ডামি প্রার্থী বলে কোনও কথা হয় না। প্রত্যেক দলই একজনকে প্রার্থী করে আর দলের আরেকজনকে ডামি প্রার্থীকে রাখে। আমরাও রাখব।’’
'ডামি প্রার্থী' দেওয়া নিয়ে কী বললেন মুকুল রায়?#Elections2019 pic.twitter.com/23jkfUx1Gd
— IE Bangla (@ieBangla) March 26, 2019
প্রসঙ্গত, বাংলায় লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসন্তোষের খবর আসছে। কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিককে ঘিরে দলের অন্দরেই বিক্ষোভ প্রদর্শন চলে। বসিরহাটে বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসুর বিরুদ্ধেও পোস্টার দেওয়া হয়েছে। ভোটের মুখে প্রার্থী অসন্তোষ যেভাবে মাথাচাড়া দিচ্ছে, তাতে গেরুয়া বাহিনীর অস্বস্তি বাড়ছে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। এদিন মুকুল রায়ের মতো পোড় খাওয়া রাজনীতিকের কথা থেকেও বিজেপির অন্দরের দ্বিধা অস্বস্তি প্রকাশ পেয়েছে।