গোর্খাল্যান্ডের কথা মুখে আনলেন না। তবে, দার্জিলিংয়ের প্রচার সভা থেকে গোর্খাদের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যদিও কোন পথে প্রতিশ্রুতি রূপায়ণ হবে তা স্পষ্ট করেননি অমিত শাহ। তাঁর আশ্বাস, বিজেপি ক্ষমতায় এলেই পাহাড়ের সব সমস্যার সমাধান হবে। ২রপা মে-র পর বদলে যাবে দার্জিলিং। পুরসভা হবে পুরনিগম, 'যেসব গোর্খাদের উপর মামলা রয়েছে সেগুলো প্রত্যাহার হবে, ১১ গোর্খা জনজাতিকে তফশিলি সম্প্রদায়ের তকমা দেওয়া হবে। গোর্খা ভাষাকে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়া হবে। প্রসারভারতী, দূরদর্শনে নেপালি ভাষায় সম্প্রচার হবে। চা শ্রমিকদের মজুরি বাড়বে। পানীয় জলের সমস্যার সমাধান করা হবে।'
গত কয়েক দশক ধরে দার্জিলিংয়ে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি বলে অভিযোগ অমিত শাহর। এর জন্য কংগ্রেস, বাম ও তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে 'বঞ্চনা'র অভিযোগ তুলেছেন মোদীর সেনাপতি। অমিত সাহর কথায়, 'গত ৭০ বছর ধরে দার্জিলিঙের কোনও উন্নয়ন হয়নি। কংগ্রেস, বাম, দিদি সকলে দার্জিলিঙের উন্নয়নে ফুলস্টপ লাগিয়ে দিয়েছে। তবে আমাদের জেতালে সেই বাধা কাটবে। ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে পাহাড়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল সিপিএম। ১২০০ বেশি গোর্খার বুকে গুলি করেছিল। আজও সেকথা ভুলিনি। আর দিদিও কম অত্যাচার করেননি। বহু লোককে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে। হাজারের বেশি লোকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আপনাদের কথা দিচ্ছি, এখানে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার তৈরি হওয়ার পর এক সপ্তাহের মধ্যে পাহাড়ে গোর্খাদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা হয়েছে তা তুলে নেওয়া হবে।'
পাহাড়ের তিনটি বিধানসবা আসনই বিজেপির কাছে গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি করেন শাহ। কৌশলে ঢিল মারলেন গোর্খা আবেগ। প্রশ্ন উঠছে, স্থায়ী সমাধানের কথা বলে আদতে কী গোর্খাদের বহুদিনের পৃথক রাজ্যের দাবিকে উস্কে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
একই সঙ্গে এদিন লেবংয়ের সভায় শাসহ ফের বলেন এনআরসি হলে গোর্খাদের কোনও অসুবিধা হবে না, যদিও তা এখনই হচ্ছে না। গোর্খাদের অনুপ্রবেশকারী বলে কেন্দ্র মনে করে না। অমিত শাহ এনআরসি প্রসঙ্গে বলেছেন, 'দেশে এখনই এনআরসির কোনও পরিকল্পনা নেই। আর যদি ভবিষ্যতে এনআরসি হয়ও, তাতেও গোর্খাদের চিন্তার কোনও কারণ নেই। কারণ, আমার কোনও গোর্খা ভাই অনুপ্রবেশকারী নয়।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন