তাঁরাও প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী যশোদা বেনের মত স্বামী পরিত্যক্তা হবেন, এমন আশঙ্কায় ভোগেন বিজেপির মহিলা কর্মীরা। এ অভিযোগ বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) নেত্রী মায়াবতীর। সোমবার মায়াবতী বলেছেন, তাঁদের স্বামীরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে বিজেপির মহিলা কর্মীরা ভয় পান ।
মায়াবতী বলেন, "আমি জানতে পেরেছি যে বিজেপির বিবাহিতা মহিলারা যদি দেখেন যে তাঁদের স্বামীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে যাচ্ছেন, তখন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাঁদের ভয় হয় যে তাঁরাও স্ত্রীকে পরিত্যাগ করবেন।"
বিএসপি নেত্রী মহিলা ভোটারদের কাছে আর্জি জানিয়েছেন যে তাঁরা যেন প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থীদের ভোট না দেন। মোদীর পরিত্যক্তা স্ত্রীর সম্মানেই তাঁদের মোদীর প্রার্থীদের ভোট না দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন মায়াবতী।
মায়াবতী বলেন, "এই পরিস্থিতিতে আমি দেশের সব মহিলাদের কাছে অনুরোধ করছি আপনারা এরকম একজন মানুষকে ভোট দেবেন না। তাহলে মোদীজির পরিত্যক্তা স্ত্রীর প্রতি সম্মানজ্ঞাপন করা হবে।"
একদিন আগেই আলওয়ার গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে মায়াবতী কুম্ভীরাশ্রু ফেলছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন মোদী। এদিন মায়াবতী তার উত্তরে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভয়ানক এক অপরাধকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ব্যবহার করছেন।
মায়াবতী আরও বলেছেন, "উনি বিষয়টি নিয়ে নোংরা রাজনীতি করছেন যাতে তাঁর দল ভোটে উপকৃত হয়। এ ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক। উনি নিজেই যদি স্ত্রী-কে পরিত্যাগ করেন তাহলে কী করে অন্যের মা বোনেদের সম্মান করবেন!"
রবিবার কুশীনগরে এক নির্বাচনী সভায় মায়াবতীর উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে মোদী বলেন, "দলিত মেয়েদের উপর সত্যিকারের দরদ থাকলে রাজস্থানে কংগ্রেস সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে দেখান।"
মোদীর বক্তব্য প্রতিক্রিয়ায় মায়াবতী বলেছেন, তাঁর দল আলওয়ারের ঘটনায় অত্যন্ত দুঃখিত। কংগ্রেস সরকার এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় কংগ্রেস সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের কথাও ভাবা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন মায়াবতী।
Read the Full Story in English