সিবিআই রবিবার আলিপুর সহ মহুয়া মৈত্রের সংসদীয় কেন্দ্র কৃষ্ণনগরের চারটি স্থানে অভিযান চালায়। এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল সিবিআই। সংসদে টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন কাণ্ডে লোকপালের নির্দেশে মহুয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই।
এদিকে গতকালের তল্লাশির পর আজ রবিবার তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী এবং প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্র নির্বাচন কমিশনে চিঠি লিখে অভিযোগ করেছেন, যে সিবিআই তাকে "হয়রানি" করছে এবং "তার নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে"। কৃষ্ণনগর লোকসভা আসনের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মহুয়া মৈত্র আরও অভিযোগ করেছেন,' সিবিআই ইচ্ছাকৃতভাবে পরপর চারটি স্থান তল্লাশি চালানোর জন্য বেছে নিয়েছে'।
চিঠিতে মহুয়া মৈত্র অভিযোগ করেছেন, "আমার প্রচার প্রক্রিয়াকে বাধা দেওয়া এবং ভোটের আগে আমার সম্পর্কে একটি নেতিবাচক ধারণা তৈরি করার একমাত্র উদ্দেশ্য নিয়েই এই অভিযান চালানো হয়েছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, "কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা "অবৈধভাবে অভিযান চালিয়েছে"।
কৃষ্ণনগর লোকসভার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মহুয়া মৈত্র তার চিঠিতে জোর দিয়ে বলেন, 'নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর হওয়ার পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির তদন্ত পরিচালনার বিষয়ে "অবিলম্বে নির্দেশিকা জারি করার প্রয়োজন রয়েছে"। গতকালের অভিযানের বিষয়ে মহুয়া লিখেছেন, "সিবিআই আমার কাছ থেকে কিছুই না পেয়ে খালি হাতেই তাদের ফিরে যেতে হয়।"
অন্যদিকে মহুয়া মৈত্রের পাশে দাঁড়িয়েছে দল। টিএমসি রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বিজেপির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি ব্যবহার করার অভিযোগ এনে বলেছেন, “যেহেতু তিনি সংসদে প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছিলেন, তাই তাকে টার্গেট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সিবিআইকে ভোটের আগে তার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে কিন্তু তার বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তিনি বলেন, মহুয়াকে যদি গ্রেফতারও করা হয় তিনি জেল থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এবং জয়ী হবেন” ।