নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে মতানৈক্য মূলত কমিশনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে এবং কমিশনের সদস্যরা একে অন্যের 'টেমপ্লেট বা ক্লোন' নন। শনিবার এ মন্তব্য করেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা।
সুনীল অরোরা বলেন, "নৈঃশব্দের বাগ্মিতা কঠিন হলেও কাঙ্ক্ষিত। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় তা দর্শিত হচ্ছে না, বরং অসময়ে বিতর্ক সৃষ্টি হচ্ছে।"
গত ৪ মে থেকে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ সম্পর্কিত বৈঠকগুলি থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা। তাঁর অভিযোগ, তিন সদস্যের কমিশনের বৈঠকে তাঁর ভিন্ন মত লিপিবদ্ধই করা হচ্ছে না। এ নিয়ে সুনীল অরোরাকে লেখা এক চিঠিতে তিনি বলেছেন যদি তাঁর আপত্তিসমূহ নোট করা হয় এবং কমিশনের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সংখ্যালঘুর সিদ্ধান্তও যুক্ত করা হয়, তাহলেই তিনি বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। এর প্রেক্ষিতেই শনিবার সুনীল অরোরার এই বিবৃতি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের বিরুদ্ধে ওঠা নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগের পাঁচটি ক্ষেত্রে তাঁদের ক্লিন চিট দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন লাভাসা। সে খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসেই প্রথম প্রকাশিত হয়। কমিশনের তৃতীয় সদস্য সুশীল চন্দ্র।
শনিবার এক বিবৃতিতে সুনীল অরোরা বলেছেন, "নির্বাচন কমিশনের তিন সদস্য একে অন্যের টেমপ্লেট বা ক্লোন হবেন, এমনটা আশা করা যায় না। এর আগেও বহুবার দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপক ফারাক দেখা গেছে, যেমনটা হতেই পারে এবং হওয়া উচিতও।"
"কিন্তু সেরকম ঘটনা নির্বাচন কমিশনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে, যদি না কমিশনের সদস্য বা মুখ্যে নির্বাচন কমিশনার পরে সে নিয়ে কোনও বই লেখেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে কখনওই গণবিতর্ক থেকে নিজেকে আড়াল করিনি, কিন্তু সবকিছুরই সময় আছে।"
তিনি আরও বলেছেনস গত ৫ মে, ২০১৯-এ অনুষ্ঠিত কমিশনের শেষ বৈঠকে তিন সদস্যই 'সর্বসম্মতিক্রমে' সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে লোকসভা ভোট শেষ হওয়ার পর আদর্শ আচরণবিধি সহ বেশ কিছু বিষয়ে চিন্তাভাবনা করার জন্য 'কিছু গোষ্ঠী' তৈরি করা হবে।
Read the Full Story in English