চতুর্থ দফায় ভোটে রক্তাক্ত হয়েছিল বাংলা। প্রাণ যায় ৫ জনের। সিআরপিএফ-র গুলি ঘিরে তুঙ্গে চাপানউতোর। এর মধ্যেই শনিবার পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চম দফার ভোটপর্ব রয়েছে। আগের দফার অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভোট শান্তিপূর্ণ করতে তৎপর কমিশন। আনা হয়েছে বাড়ি বাহিনী। ভোট পঞ্চমীতে বাংলায় ৬ জেলায় মোট ৪৫ আসনে ভোটগ্রহণ হবে। সুরক্ষার জন্য এই পর্বে কমিশনের নির্দেশে ১৫ হাজার ৭৮৩ বুথে ১০৭১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকছে।
৬ জেলার নির্বাচন, বুথ পাহারায় মোতায়েন থাকবে ৮৫৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাকি ১১৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে অন্যান্য দায়িত্বে। এছাড়াও সুরক্ষা কাজে ১৫ হাজার ৭৯০ জন রাজ্য পুলিশ বাহিনী।
কোথায় কত কোম্পানি বাহিনী?
- সবচেয়ে বেশি কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন পূর্ব বর্ধমানে। এখানে ১৫৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
- ১৪০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রানাঘাট পুলিশ জেলায়।
- জলপাইগুড়িতে ১২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকছে।
- বসিরহাট পুলিশ জেলায় থাকছে ১০৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
- বারাসত পুলিশ জেনায় ৬৯ কোম্পানি বাহিনী।
- ৬৮ কোম্পানি দার্জিলিঙে থাকছে।
- ব্যারাকপুর কমিশনারেটে থাকছে ৬১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
- শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট ৫৩ কোম্পানি।
- বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট ৪৬ কোম্পানি
- কালিম্পং জেলা ২১ কোম্পানি বাহিনী থাকছে
- কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলা ১১ কোম্পানি।
রাজ্যে প্রথম চার দফায় পুলিশ পর্যবেক্ষকের সংখ্যা ছিল ৫৫। এবার তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬৬। পুলিশের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সমন্বয়ের কাজের লক্ষ্যে নতুন করে ১১ জন পর্যবেক্,ককে নিয়োগ করেছেন কমিশন।
অন্যদিকে, ভোটের সুরক্ষার জন্য সিআরপিএফকে সতর্ক করেছেন বাংলায় কমিশন নিযুক্ত দুই পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে ও অজয় নায়েক। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক সেরেছেন এই দুই পুলিশ পর্যবেক্ষক। ওঠে শাতলকুচি প্রসঙ্গ। সেখানে গুলি চালানোর জন্য আত্মরক্ষার তত্ত্বের কথা বলেছে কমিশন। কমিশনের নির্দেশ, আত্মরক্ষায় গুলি চালানোর পরিস্থিতি হলেও সেক্ষেত্রে মেনে চলতে হবে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরস বা SOP। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই সিআরপিএফ-কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন