উত্তর প্রদেশের চন্দৌলি জেলার তারা জিভাপুর গ্রামের বাসিন্দারা রবিবার সকালে জানিয়েছেন, শনিবার তিন ব্যক্তি নিজেদের বিজেপি'র কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে তাঁদের হাতে "জোর করে" ভোটের কালি লাগিয়ে মাথাপিছু ৫০০ টাকা করে হাতে ধরিয়ে দেন। তাঁদের দাবি, রবিবার সাধারণ নির্বাচনের শেষ দফায় যাতে তাঁরা ভোট দিতে না পারেন, সেজন্যই এই কাজ করা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে এক গ্রামবাসী বলেন, "ওরা বিজেপির লোক ছিল, আমাদের জিজ্ঞেস করল বিজেপিকে ভোট দেব কি না। তারপর বলল, এখন আর তোমরা ভোট দিতে পারবে না। কাউকে বোলো না।"
আরও পড়ুন: "মোদীর কীসের এত ভয়, যে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে পারেন না?"
অভিযোগ নথিভুক্ত করে চন্দৌলির এসডিএম কে আর হর্ষ জানান, ভোট দিতে পারবেন ওই গ্রামবাসীরা, এবং অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এএনআই-কে তিনি বলেন, "অভিযোগকারীরা পুলিশ স্টেশনে এসেছেন। ওঁরা যা অভিযোগ করবেন, তার ভিত্তিতেই ব্যবস্থা নেব আমরা। যেহেতু ভোটদান শুরু হওয়ার আগেই এই ঘটনা ঘটেছে, ওঁরা অবশ্যই ভোট দিতে পারবেন। এফআইআর-এ ওঁদের বলতে হবে যে জোর করে কালি লাগানো হয়েছিল।"
উত্তর প্রদেশের যে ১৩টি লোকসভা কেন্দ্রে রবিবার ভোট হয়, তার মধ্যে চন্দৌলি একটি। এই কেন্দ্র থেকে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার লড়াইয়ে নেমেছেন উত্তর প্রদেশের বিজেপি প্রধান মহেন্দ্র নাথ পাণ্ডে। ১৩টি আসনের ১১টি-তে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি, দুটিতে লড়ছে তাদের জোটসঙ্গী আপনা দল (সোনলাল)। এই দুটি আসন হলো মির্জাপুর, যেখানকার বর্তমান সাংসদ অনুপ্রিয়া প্যাটেল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও বটে, এবং রবার্টসগঞ্জ।