শীতলকুচি হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত দোষীদের ধরতে সিআইডি তদন্তের কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতো শুক্রবার শীতলকুচি কাণ্ডে তদন্তভার গ্রহণ করল রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা দফতর। সিআইডি একটি বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করেছে। গত শনিবার চতুর্থ দফার ভোটে কোচবিহারের শীতলকুচি কেন্দ্রের জোড়পাটকি গ্রামের ১২৬ নম্বর বুথে ঠিক কী হয়েছিল তা তদন্ত করে বের করবে সিট।
জানা গিয়েছে, সেদিনের ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন তদন্তকারীরা। ভোটার থেকে শুরু করে পোলিং অফিসারদের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং একটি বৈদ্যুতিন মাধ্যমে একটি ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, বেশ কিছু মানুষ, সিআরপিএফের জওয়ানরা বচসায় জড়়িয়েছেন। তারপর চলে গুলি, এবং বেশ কয়েকজন মারা যান। স্থানীয়দের আর্ত চিৎকারে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সেই ভিডিও শীতলকুচির কি না তা খতিয়ে দেখতে ফরেনসিক টেস্ট করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, শীতলকুচির ঘটনায় ৫ মে-র মধ্যে সিআইডির কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের। ৫ মে-র মধ্যে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের। সরকারি আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন, কোচবিহারের মাথাভাঙা থানায় এই ঘটনায় এফআইআর রুজু করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত সিআইডিকে দিয়ে করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এরপরই সিআইডিকে এই ঘটনায় ৫ মে-র মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলে হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, শীতলকুচির ঘটনার দোষীদের শাস্তির আর্জি জানিয়ে গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। রাজ্যে চতুর্থ দফার ভোটে শীতলকুচির একটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। আইনজীবীর আর্জির ভিত্তিতে শুক্রবার হাইকোর্টে মামলার শুনানি হয়। তিনি নিহতদের পরিজনকে আর্থিক সাহায্য ও ঘটনার অবিলম্বে তদন্ত ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর যে কোম্পানিকে নির্বাচন কমিশন সেখানে মোতায়েন করেছিল, সেই কোম্পানিকে বাকি দফার নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে নিষিদ্ধ করার আর্জিও জানানো হয়।
এর প্রেক্ষিতে কমিশনের আইনজীবী জানিয়েছেন, ক্ষতিপূরণ দিতে তাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু নেতা-নেত্রীদের হাতে সেই ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে কমিশন। তা নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হবে বলে দাবি কমিশনের।