নাগরিকত্ব বিল নিয়ে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির অসন্তোষে কার্যত ‘চাপে’ বিজেপি। সেই নাগরিকত্ব বিলকেই এবার হাতিয়ার করে এ রাজ্যে লোকসভা ভোটের প্রচারের কৌশল তৈরি করে ফেলেছে গেরুয়াবাহিনী। উনিশের ভোটের লড়াইয়ে এ রাজ্যে হিন্দু বাংলাদেশি শরণার্থীদের মন পেতে নাগরিকত্ব বিলকেই ‘নয়নের মণি’ করেছে পদ্মশিবির। এ বাংলায় বিজেপির লোকসভা ভোটের প্রচারে নাগরিকত্ব বিলেরই ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচার করা হবে, এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দেবশ্রী রায় চৌধুরী।
এ প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেবশ্রী বলেন, “বিলের সমর্থনের জন্য ব্যাপক প্রচার চালাব। রাজ্যের হিন্দু বাংলাদেশিদের মধ্যে সচেতনতার জন্য ক্যাম্প তৈরি করব।” দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আসামে এনআরসি-র পর থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে বাঙালি বিরোধী ভাবমূর্তি তৈরিতে সক্রিয় হয়েছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বাঙালি বিরোধী ভাবমূর্তি ভাঙতেই এমন প্রচার কৌশল নিয়েছে গেরুয়াবাহিনী।
আরও পড়ুন, নাগরিকত্ব বিলে ‘আপত্তি’, বিজেপির ‘চাপ’ বাড়াচ্ছে উত্তর-পূর্বের আরও চার শরিক
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের আগে বিজেপিকে কার্যত বিপাকে ফেলেছে নাগরিকত্ব বিল। এই বিলে আপত্তি জানিয়ে উত্তর-পূর্বের বাকি শরিকদেরও রোষের মুখে পড়তে হয়েছে গেরুয়াবাহিনীকে। আগামী দিনে পদ্মবাহিনীর সঙ্গে তাঁরা পথ চলবেন কিনা সে নিয়ে এবার ভাববেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী। শুধু মেঘালয়ই নয়, নাগরিকত্ব বিলে আপত্তি তুলে বিজেপির প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মিজোরামের শরিকরাও। সব মিলিয়ে ‘নর্থ-ইস্ট ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স’ (এনইডিএ)-এর ১১টি দলের ক্ষোভের মুখে গেরুয়াশিবির। এই বিলে আপত্তি জানিয়েই আসামে বিজেপি সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অগপ। উনিশের ভোটের আগে এমন শরিকি অসন্তোষ অমিত শাহদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
Read the full story in English