রাজ্যে পঞ্চম দফার ভোটের আগে নববর্ষে উত্তর থেকে মধ্য কলকাতায় রোড শো করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিরাচরিত ভাবেই কোনও হুডখোলা জিপ বা গাড়িতে নয়, মমতা এদিন রোড শো করলেন হুইলচেয়ারে বসেই। আলোছায়া সিনেমাহল থেকে বউবাজার পর্যন্ত এই রোজ শোয়ে ছিলেন তৃণমূলের একাধিক প্রার্থী ও শীর্ষ স্থানীয় নেতা।
Advertisment
কিন্তু এবারের রোড শো অন্য বারের থেকে ছিল একটু আলাদা। বৃহস্পতিবার মমতার হুইলচেয়ারের পাশে পাশে হাঁটলেন বাংলার 'ধন্যি মেয়ে' জয়া ভাদুড়ি। কখনও পাশে হাঁটলেন, কখনও মমতার হুইলচেয়ার টানলেন। যা এক কথায় অনন্য সৌহার্দ্যের সাক্ষ্য হয়ে রইল কলকাতার রাজপথে। বাংলা নববর্ষে কোনও রাজনৈতিক জনসভা রাখেননি মমতা। শুধুমাত্র বেলেঘাটা থেকে বউবাজার পর্যন্ত রোড শো ছিল। আর সেই রোড শোয়ে মমতার পাশে থেকে নজর কাড়লেন জয়া। তবে পুরো মিছিলে থাকেননি সমাজবাদী পার্টির সাংসদ।
এর আগেও তৃণমূলের একাধিক প্রার্থীর হয়ে রোড শো করেছেন অমিতাভ-জায়া। তিনিও বাংলার মেয়ে, আর তাই বাঙালিবাবু তথা অধুনা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর পাল্টা হিসাবে বাংলার 'ধন্যি মেয়ে'কে প্রচারে এনে চমক দেয় তৃণমূল। এবারের নির্বাচনে মমতাকে সমর্থন জানিয়েছেন সপা সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব। তাঁর দূত হিসাবেই বাংলায় একের পর এক সভা, রোড শো করছেন জয়া। তবে এদিন মমতার সঙ্গে তাঁর রোড শোয়ে হাঁটা আক্ষরিক অর্থে দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।
Advertisment
এদিন মিছিলে আরো ছিলেন কাশীপুর-বেলগাছিয়ার প্রার্থী অতীন ঘোষ, শ্যামপুকুরের ডা. শশী পাঁজা, জোড়াসাঁকোর বিবেক গুপ্তা, বেলেঘাটার পরেশ পাল, মানিকতলার সাধন পাণ্ডে, চৌরঙ্গির নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। রোড শো শেষে সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান মমতা। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করেন, নতুন বছরে বাঙালির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি-কৃষ্টি এবং বাংলাকে বাঁচাতে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার জন্য।
আমাদের নিউজলেটার সদস্যতা!
একচেটিয়া অফার এবং সর্বশেষ খবর পেতে প্রথম হন