ভোটের আগে ফের আয়কর দফতর থেকে নোটিস পেয়েছে কংগ্রেস। বকেয়া কর-জরিমানা-সুদ বাবদ মোট ৩৫৬৭কোটি টাকার দাবি করেছে আইটি বিভাগ।
আয়কর বিভাগ কংগ্রেসের কাছ থেকে আরও ১৭৪৫ কোটি টাকা দাবি করে আরেকটি নোটিস পাঠিয়েছে। কংগ্রেস শনিবার বলেছে যে ২০১৪-২০১৫ থেকে ২০১৬-২০১৭ অর্থবর্ষের জন্য আয়কর বিভাগ থেকে নতুন নোটিস পাঠানো হয়েছে। যাতে বকেয়া হিসাবে ১৭৪৫ কোটি টাকার দাবি করা হয়েছে। এর আগেও, ১৯৯৪-৯৫ এবং ২০১৭-২০১৮ থেকে ২০২০-২০২১ অর্থবর্ষের জন্য বকেয়া কর-জরিমানা-সুদ বাবদ বাবদ বকেয়া অর্থ জমা দেওয়ার নোটিস পাঠিয়েছে আইটি বিভাগ। এখন পর্যন্ত আয়কর বিভাগ কংগ্রেসের কাছ থেকে কর-জরিমানা-সুদ বাবদ মোট ৩৫৬৭ কোটি টাকা দাবি করেছে।
নতুন বিজ্ঞপ্তিতে, আয়কর বিভাগ ২০১৪-২০১৫ অর্থবর্ষের জন্য ৬৬৩.০৫ কোটি টাকা, ২০১৫-২০১৬ অর্থবর্ষের জন্য ৬৬৩.৮৯ কোটি টাকা এবং ২০১৬-২০১৭ অর্থবর্ষের জন্য ৪১৭.৩১ কোটি টাকা দাবি করে নোটিস পাঠিয়েছে।
এর আগে, আয়কর বিভাগ ১৩৫ কোটি টাকা বকেয়ার জন্য কংগ্রেসকে নোটিস দেয়। যার বিরুদ্ধে দলটি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে। কিন্তু এ বিষয়ে এখনও কোন সুরাহা পায়নি দল। এদিকে আয়কর দফতরের একের পর এক নোটিস ঘিরে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে কর সন্ত্রাসের অভিযোগ এনেছে দল। দলের পক্ষ থেকে লাগাতার প্রতিবাদ চলছে।
কংগ্রেসও আয়কর বিভাগের নোটিসের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি.কে. শিবকুমার বলেছিলেন, “আমিও গত রাতে আয়কর থেকে একটি নোটিস পেয়েছি"। তিনি বলেন, বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির একাধিক মামলা রয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, 'আয়কর বিভাগ, বিরোধী দলগুলিকে লক্ষ্য করে চলেছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে আসন্ন পরাজয়ের ভয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি আয়কর বিভাগ, ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট), সিবিআইয়ের মত কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করছে। বিরোধী দলকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে'।
সিদ্দারামাইয়া বলেন, “এই কৌশলের অংশ হিসেবে বিজেপি আমাদের দলের বিরুদ্ধে আয়কর বিভাগকে ব্যবহার করছে। আমাদের দলকে দুর্বল করতে পারলেই নির্বাচনে জয়লাভ নিশ্চিত এমন ধারণার মধ্যে রয়েছে বিজেপ। কিন্তু দল বিজেপির এই কৌশলে এতটুকুও ভীত নয়'।