Advertisment

Lok Sabha Election: শরিকী মন জিততে বিরাট বলিদান, লোকসভার লড়াইয়ে সর্বনিন্ম আসনের রেকর্ড কংগ্রেসের!

জোটের জেরে হারাতে হল শ'খানেক আসন, ৩২৮টিতে লড়াই জারি কংগ্রেসের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
What explains BJPs massive MP lead Last-minute push Congresss organisational weaknesses

নরেন্দ্র মোদী এবং রাহুল গান্ধী।

মোদী সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে আসরে ইন্ডিয়া জোট। এবারের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস তার মিত্রদের ১০১টি আসন দিয়েছে, ৩২৮টিতে লড়বে কংগ্রেস একাই, এই প্রথম সর্বনিম্ন লোকসভা আসনে লড়ছে দেশের গ্র্যাণ্ড ওল্ড পার্টি। এই প্রথমবার, কংগ্রেস লোকসভা নির্বাচনে ৪০০-এর কম আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। উত্তরপ্রদেশ এবং বাংলার চিত্রটা মোটের ভাল নয়।

Advertisment

প্রথমবারের মতো লোকসসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ৪০০ টিরও কম লোকসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এই বছর মাত্র ৩২৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে কংগ্রেস। ২০১৯ সালের নিরিখে এবার ৯৩ টি কম সংখ্যক আসনে লড়ছে কংগ্রেস। জোটের মিত্রদের ১০১টি আসন ছাড়াতেই এবার সর্বনিন্ম লোকসভা আসনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছে কংগ্রেস।

কংগ্রেস শুধু কর্ণাটক ও ওড়িশাতেই বেশি আসনে লড়ছে। কর্ণাটকে, দল ২০১৯ সালের ২১ টির তুলনায় এবার ২৮ টি আসনের সবকটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে৷ ১৯-এর নির্বাচনে কংগ্রেসের সে সময়ের মিত্র JD(S) বাকি আসনগুলিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল৷ ওড়িশায়, ২০১৯ সালে ১৮ টি আসনের তুলনায় এবার ২০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। সুরাত এবং ইন্দোরে কংগ্রেস প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে দল এবার ৩৩০টি আসনে প্রতিদ্বন্ধিতা করত।

২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে, কংগ্রেস ৪১৭ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। যা তখন সর্বনিম্ন ছিল। এর পর ২০০৯ ৪৪০টি, ২০১৪ সালে ৪৬৪টি এবং ২০১৯ সালে ৪২১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল৷ এবার, দলটি সারা দেশে ১২টি রাজ্যে ২০১৯ সালের তুলনায় ৯৩টি কম আসনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছে।

২০১৯ সালে বিজেপি এবং এসপি-বিএসপি জোটের বিরুদ্ধে, দল রাজ্যের ৮০ টি আসনের মধ্যে ৬৭টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল কিন্তু শুধুমাত্র একটিতে জয় পায়। সেটি ছিল রায়বেরেলিতে। সেখান থেকে জয় পায় কংগ্রেসের সনিয়া গান্ধী। এবার সেই উত্তর প্রদেশেই সর্বনিন্ম আসনে লড়ছে দল। কংগ্রেস সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোটবদ্ধ রাজ্যের মাত্র ১৭টি আসনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছে।

বাংলায় ২০১৯ সালে দল ৪২ টি আসনের মধ্যে ৪০ টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল, মাত্র দুটিতে জিতেছিল। এবার, দলটি বাম দলগুলির সঙ্গে কৌশলগত বোঝাপড়ার কারণে মাত্র ১৪ টি আসনে লড়ছে কংগ্রেস।

মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি আরও জটিল। কংগ্রেস ২০১৯ সালের নির্বাচনে এনসিপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। কিন্তু শিবসেনার সঙ্গে আসন ভাগাভাগি ইস্যুতে কিছু সমস্যা দেখা দেওয়ায় কংগ্রেস গতবারের ২৫টির বদলে, এবার রাজ্যের মাত্র ১৭ আসনে লড়াই করছে।

নয়টি রাজ্যে, জোটের প্রভাবশালী হওয়া সত্ত্বেও কংগ্রেস ইন্ডিয়া জোটের মিত্রদের কাছে এক বা দুটি আসন ছেড়েছে। দিল্লিতে কংগ্রেস, গতবার সাতটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল, সেখানে আপের সঙ্গে জোটের কারণে দল মাত্র তিনটিতে লড়াই করেছে। উত্তর পূর্ব দিল্লি, উত্তর পশ্চিম দিল্লি এবং চাঁদনি চক৷

আপের সঙ্গে জোটের কারণে দল হরিয়ানায় (কুরুক্ষেত্র) একটি এবং গুজরাটে (ভাবনগর এবং ভরুচ) দুটি আসন জোটের মিত্রদের কাছে ছাড়ে। অন্ধ্র প্রদেশে, সিপিএম এবং সিপিআইকে দুটি আসন (আরাকু এবং গুন্টুর) ছাড়তে হয়েছে কংগ্রেসকে। অসমের ডিব্রুগড় আসনটি স্থানীয় দল অসম জাতীয় পরিষদকে ছেড়েছে কংগ্রেস।

মধ্য প্রদেশে, দল সমাজবাদী পার্টিকে খাজুরাহো আসনটি দিয়েছে কিন্তু পরবর্তী প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় কংগ্রেস এবং এসপি এখন অল ইন্ডিয়া ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থীকে সমর্থন করছে। রাজস্থানে, দলটি মিত্রদের তিনটি আসন দিয়েছে।

ত্রিপুরাতেও চিত্রটা মোটামুটি একই। জম্মু ও কাশ্মীরে, কংগ্রেস ২০১৯ এ সালে পাঁচটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। এবার, দল লাদাখ আসন সহ তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

CONGRESS loksabha election 2024
Advertisment