ইউপিএ আমলে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক সম্পর্কে কংগ্রেসের দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিজেপি সাংসদ তথা সেনা প্রধান ভি কে সিং। কংগ্রেসের মিথ্যা বলার অভ্যেস আছে বলে অভিযোগ করে জেনারেল সিংয়ের প্রশ্ন, আমার সেনাপ্রধান থাকার সময়কালে কোন তথাকথিত সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা বলছেন আমাকে বলবেন কী! আমি নিশ্চিত আপনারা গল্প বানানোর জন্য কাউকে ভাড়া করেছেন।
ভিকে সিং ২০১০ সালের মার্চ মাস থেকে ২০১২ সালের মে মাস পর্যন্ত সেনাপ্রধান ছিলেন। সেনাপ্রধান হিসেবে পদ ছাড়ার পর তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন। তিনি গাজিয়াবাদ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে জিতেও যান। তিনি সেনাপ্রধান থাকার সময়ে তাঁর জন্মতারিখ নিয়ে মনমোহন সিং সরকারের সঙ্গে ঝামেলায়ও জড়িয়ে পড়েন তিনি।
Congress has a habit of lying. Will you please let me know which ‘So called Surgical Strike’ are you attributing to my tenure as COAS. Am sure you must have hired some Coupta to invent another story .
— Chowkidar Vijay Kumar Singh (@Gen_VKSingh) May 4, 2019
কয়েকদিন আগে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং হিন্দুস্তান টাইমসে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন "ইউপিএ আমলেও বেশ কয়েকটি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছে।" মনমোহন বলেছেন, "আমাদের কাছে মিলিটারি অপারেশনের অর্থ হল কৌশলগত এবং ভারত-বিরোধী শক্তিকে মুখের মত জবাব দেওয়া। ভোট জেতার জন্য নয়।"
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দাবির পরেই কংগ্রেসের মুখপাত্র রাজীব শুক্লা কংগ্রেস আমলে ৬টি সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের খতিয়ান দেন। তিনি বলেন, “মনমোহন সিং সরকারের আমলে ৬টি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছে। একটি ঘটেছে ২০০৮ সালের ১৯ জানুয়ারি জম্মু কাশ্মীরের পুঞ্ছের বাতালিক সেক্টরে, একটি ২০১১ সালের ৩০ অগাস্ট-১ সেপ্টেম্বর কেল-এ নীলম নদী উপত্য়কার অপর পাড়ে শারদা সেক্টরে, একটি ঘটেছে ২০১৩ সালের ৬ জানুয়ারি সাওয়ান পাত্রা চেক পোস্টে, আরেকটি ঘটেছে নাজাপির সেক্টরে ২০১৩ সালের ২৭ ও ২৮ জুলাইয়ে, নীলম উপত্যকায় ৬ অগাস্টে একটি এবং ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি আরও একটি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছে।”
এবারের ভোটে সীমান্ত সন্ত্রাস এবং সার্জিক্যাল স্ট্রাইক বড় ইস্যু হয়ে উঠেছে। বিজেপি জাতীয়তাবাদ কেন্দ্রিক বয়ান তৈরি করছে।
শুক্রবার নরেন্দ্র মোদীও কংগ্রেসের দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, “এগুলো কেমন হামলা, যার কথা জঙ্গিরাও জানে না, পাকিস্তানও জানে না, এমনকি ভারতীয়রাও জানে না। প্রথমে কংগ্রেস সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে বিদ্রূপ করেছিল, তারপর সে নিয়ে প্রতিবাদ করেছিল, এখন তারা বলছে “মি টু”! শুধু কংগ্রেসই পারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে কাগজে কলমে স্ট্রাইক চালাতে।”